ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? এটা থেকে কিভাবে আয় করে ?

 


ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এটা থেকে কিভাবে আয় করে ? কিভাবে শিখবো ?


ডিজিটাল মার্কেটিং মানে হলো সোশ্যাল মিডিয়া, এসইও, ইমেইল এবং মোবাইল অ্যাপের মতো চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য প্রচারণা চালানো।

ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্র্যান্ডের প্রচার করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিংকে অনলাইন মার্কেটিংও বলা হয়।

উইকিপিডিয়া’র মতে, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মিডিয়া ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিংকে বুঝায়’।

যদি একটি মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল মিডিয়া জড়িত থাকে, তবে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করার কথা ভাবছেন ? অথচ ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কি বুঝায় ? তাই যদি না জানি, তাহলে চলবে কিভাবে!

ব্যবসায় বিক্রি বৃদ্ধির প্রথম শর্তই হলো প্রচারণা, যতো বেশি প্রচার করা যাবে ততো বেশি পণ্যের বিক্রি হবে। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ, আর এই ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া মার্কেটিংয়েও লেগেছে। 

ক্রেতা যেহেতু অনলাইনে সময় দিচ্ছে, তাই ব্যবসায়ীদেরকেও এখন ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকেই বেশি ঝুঁকতে হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে ব্যবসায় প্রচারণার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো এই ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? – What’s Digital Marketing?

ইন্টারনেট বা যেকোনো ধরণের ডিজিটাল যোগাযোগ এর মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচার চালানোকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েব-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন এর পাশাপাশি এসএমএস, অডিও মার্কেটিং চ্যানেল, ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ যে মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল যোগাযোগ অন্তর্ভুক্ত, সেটিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

খুব সহজে বিশাল অডিয়েন্সের কাছে পোঁছানো যায় বলে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অনেক সুবিধা বিদ্যমান, চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ সম্পর্কে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?

ইন্টারনেট মার্কেটিং শুরু করতে হলে এ বিষয়ে আপনাকে প্রথমে সঠিক ধারণা নিতে হবে। কোনো কিছু না জেনে এই সেক্টরে কাজ শুরু করাটা বোকামি হবে। আপনি চাইলে কাজ শুরু করতেই পারেন, তবে সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে।

তাই আমি বলবো, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার পূর্বে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে তবেই কাজে নামুন। তাহলে আপনি একদিন না একদিন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেনই।

এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে শুরু করবেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং? আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং করার বর্তমানে জনপ্রিয় ১০ টি উপায় তুলে ধরেছি। আপনি আপনার পছন্দমতো যেকোনো ২-৩ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ফেলুন।

ভুলেও একসাথে সবগুলো সেক্টরে হাত দিতে যাবেন না। তাহলে নিজের কাছেই অনেক বেশি চাপ মনে হবে, ফলে আপনার অনীহা চলে আসতে পারে।

যেকোনো ২-৩ টা বিষয়, যেগুলো আপনার পছন্দ সেসবের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করে আপনার ব্যবসা শুরু করে দিন। তবে পরবর্তীতে আপনি বাকি সেক্টরগুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে পারেন। শেখায় তো বাধা নেই!

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত কি?


দিন দিন ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার দরুণ এটা হলফ করে বলা যায় যে, সুদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং-ই হবে সফল ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।

ট্রাডিশনাল কিংবা প্রথাগত মার্কেটিংয়ে যেখানে অনেক বেশি পুঁজি লাগে, সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তেমন একটা পুঁজির প্রয়োজন পরে না।

বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির এতোটাই উন্নয়ন হয়েছে যে ব্যবসাক্ষেত্রেও এর প্রসার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ এখন প্রচলিত মার্কেটিং থেকে বের হয়ে Digital Marketing এর দিকে ধাবিত হচ্ছে।

ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি সবাই এখন এই ডিজিটাল মার্কেটিংকেই বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এই অনলাইন মার্কেটিং করেই নিজেদের ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করছেন।

আপনিও যদি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে এটি হবে আপনার জন্য সময়োপযোগী সেরা সিদ্ধান্ত। দিন দিন এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের প্রসার এতো বেড়ে চলছে যে সুদূর ভবিষ্যতে এটি হবে সফল ব্যবসায়ীদের জন্য সেরা প্লাটফর্ম।

তাছাড়া বর্তমানে Digital Market এর ক্ষেত্র এতটাই বেড়ে চলছে যে বড় বড় কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটারদের পার্মানেন্টলি নিয়োগ দিচ্ছে। তাই এই মার্কেটিং সেক্টরে আপনার কাজের অভাব হবে না।

তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটার হতে আপনার বিশেষ কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। যেকোনো বিষয়ে একটু ভালোভাবে জেনে নিয়ে গড়তে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার।

বিশ্বব্যাপী রিচ

কোনো বিজ্ঞাপন যখন গ্লোবালি টার্গেট করে অনলাইনে পোস্ট করা হয়, তখন বিশ্বের সকল প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ উক্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। কোনো ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

খরচ সাশ্রয়

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিস্তৃত অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় অনেক কম খরচে। কোনো টিভি বা পেপারে এড দিলে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, সেই তুলনায় কম অর্থ খরচ করে একই বিজ্ঞাপন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায় ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে। তবে সময়ের সাথে সাথে চাহিদা বাড়ায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের খরচও বাড়ছে।

নির্ভরযোগ্য ফলাফল

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হলো এর থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ব্যবহার করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা যায়। নন-ডিজিটাল মাধ্যমে এই ফলাফল পরিমাপ করে বুঝেশুনে আগানোর কোনো উপায় নেই। অনেকটা অনুমানের উপর থেকে যায় ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর ফলাফল।

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে কাস্টমারের পছন্দ, বিহেভিয়র, এক্টিভিটি, ইত্যাদি জানা যায় বেশ সহজে। আবার এই ডাটা পরবর্তী ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করে কনভার্সন রেট বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে প্রাপ্ত ডাটা বেশ নির্ভরযোগ্য ও কাজে লাগানো সম্ভব।

পারসোনালাইজেশন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে সেরা বিষয় হতে হবে পারসোনালাইজেশন এর সুবিধা। ডিজিটাল  মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় তুলনামূলক সহজে। 

অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টের পোটেনশিয়াল কাস্টমারের কাছে সহজে পোঁছে যেতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ডাটা আপনার হাতের নাগালে থাকায় স্বল্প খরচে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পোঁছানো যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে। 

কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কাস্টমারের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে অডিয়েন্স এর লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ইত্যাদি বিবেচনা করে অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্টকে ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে গ্রহণ করেছে, তা জানতে পারবেন। এভাবে কাস্টমারের সংযুক্ততা আপনার ব্র্যান্ডের ইমেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হলো একটি মার্কেটিং টুল যা একবার ঠিকমত সেটাপ করলে নিজ থেকেই ফলাফল প্রদান করে। মূলত ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করাকে এসইও বলা হচ্ছে।

একটি ব্র্যান্ডের ইন্টারনেট এক্সপোজার নির্ভর করে উক্ত ব্র্যাডের এসইও প্রেজেন্স এর উপর। ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট এর কোয়ালিটি, ইউজার এনগেজমেন্টম, মোবাইল-ফ্রেন্ডলিনেস, লিংকিং, ইত্যাদি বিষয়ের উপর এসইও নির্ভর করে।

ইন্টারনেট এর সেরা সার্চ ইঞ্জিনসমূহ, যেমনঃ গুগল এর ফ্রন্টে পেজে অবস্থান করার মাধ্যম হলো এসইও। আর এই অসাধারণ টুল এর যথেষ্ট ব্যবহারের কার্যকরীতা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো এসইও এক্সপার্ট হায়ার করছে।

কনটেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট মার্কেটিং ও এসইও, এই দুইটি একই সাথে সংযুক্ত। মূলত টার্গেট অডিয়েন্সকে প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান রিসোর্স প্রদান করে মার্কেটিংকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় কনটেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। তবে কনটেন্ট মার্কেটিং সরাসরি বিজ্ঞাপনের কাজ করেনা। বরং কাস্টমারকে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে নিজের প্রোডাক্টের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে।

কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে টার্গেট অডিয়েন্সকে প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রদান করা, যা পোটেনশিয়াল কাস্টমার তৈরিতে কাজে আসতে পারে। ব্লগ, ইউটিউব ভিডিও, ইত্যাদি হলো কনটেন্ট মার্কেটিং এর অংশ। অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারগণ কনটেন্ট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়টি বর্তমানে বহুল জনপ্রিয়। এই ক্ষেত্রে সুবিধা হলো কাস্টমারের এনগেজমেন্ট ও ডিসকাশন কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং সম্ভব হয়। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সরাসরি অডিয়েন্স সংযুক্ত থাকে, তাই এটি বর্তমানে অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম থেকে অধিক কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

যারা সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন, তাদের আয়ের একটি অসাধারণ উৎস হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ধরুন আপনি যদি ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এড এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একাধিক মাধ্যমে উক্ত সেবা প্রদান করে মোটা অংকের আয় করতে পারেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমেও আয় সম্ভব, যার চেয়ে সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের কোনো উৎস নেই বললেই চলে।

পে-পার-ক্লিক মার্কেটিং

পে-পার-ক্লিক বা পিপিসি হলো কোনো প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন পোস্ট করা ও প্রতি ক্লিকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করা। এই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রটি কিছুটা জটিল হলেও ব্রান্ডের কাছে বেশ আকর্ষণীয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই ধরন।

প্রতি পিপিসি ক্যাম্পেইন থেকে টার্গেট অডিয়েন্স পাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ কনভার্সন রেট ও বিদ্যমান থাকে, যা ব্র্যান্ডের কাছে বেশ লাভজনক। আপনি যদি পিপিসি মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন, তবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে উক্ত সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই মাধ্যমের ভালো বিষয় হলো ব্রান্ড ও প্রোমোটার উভয়েই এর থেকে লাভবান হয়। মূলত একটি নির্দিষ্ট অংকের কমিশনের বিনিময়ে কোনো ব্যক্তিকে প্রোমোশনের কাজ দেওয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। অধিকাংশ ব্র্যান্ড বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স :

যদিও অনেকেরই প্রশ্ন যে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবো, তবে অনেকে আবার অনলাইন মার্কেটিংয়ের নাম শুনলেই ভাবেন অনেক কঠিন একটা বিষয়।

এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ডিজিটাল মার্কেটিং খুব একটা কঠিন কাজ নয়। যে কারো এই বিষয়ে আগ্রহ থাকলে খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন।

তবে এর জন্য নিজের আগ্রহ থাকার পাশাপাশি মার্কেটিংয়ের প্রতি ভালোবাসা কাজ করতে হবে। আপনি যদি মনের অনিচ্ছায় জোর করে এই ব্যবসাকে বেছে নেন তবে বিরক্ত হয়ে পড়বেন, সফল হতে পারবেন না।

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নতুন হলে একজন ভালো মেন্টর কিংবা কোনো ভালো এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে পারেন। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।

বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেক গাইডলাইন দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর কথা বলা যায়, যেমন:

  • বাংলায় অনলাইন কোর্স করার সাইট যেমন, বহুব্রীহি, ঘুড়ি লার্নিং, ইত্যাদি।
  • ফ্রি অনলাইন কোর্স করার সাইট (ইংরেজিতে)
  • Udemy Digital Marketing Course [১৩০ ডলার]
  • Google Digital Marketing Course .

এছাড়াও ইউটিউবে Digital Marketing নিয়ে প্রচুর ভিডিও পাবেন। আপনি চাইলে যেকোনো ভালো ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব ভিডিও’র সাহায্য নিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জনপ্রিয় কিছু ব্লগ:

  • Neilpatel
  • Shoutmeloud
  • Alexa Blog
  • Ahref Blog
  • Hubspot, ইত্যাদি।

তবে এক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত চর্চা করার অভ্যাস করতে হবে। সর্বোপরি নিজের উদ্ভাবনী শক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে পারলেই আপনি একজন সফল Digital Marketer হতে পারবেন।


শেষ কথা,,,

 ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন, কিভাবে করবেন সেসম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন। এছাড়াও, Digital Marketing নিয়ে যদি আপনাদের মনে এখনো কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো ? 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 















0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments