আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবো ?

 


আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবো ?


অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং করে আজকের দিনে কি করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়। এখনো অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা সঠিকভাবে জানে না যে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং কি। প্রায় ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক মানুষই আছে যারা আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানি না।

মূলত তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আউটসোর্সিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং আউটসোর্সিং মূলত কি। আজকের এই পোস্টটি আপনি যদি ভালোভাবে সহকারে পড়েন তাহলে আপনি অনেকটা উপকৃত হবেন।

আশা করি আপনারও আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সহ নানা তথ্য। অনেকেই জানে না যে আফসোসের এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিং সম্পর্কে।


আউটসোর্সিং কি ?

আমাদের প্রায় সকলের এইটুকু ধারণা আছে যে আউটসোর্সিং মূলত ঘরে বসে বাহিরের দেশের বা বাইরের কাউকে দিয়ে কাজ করে টাকা আয় করা কে বোঝায়। একটি প্রতিষ্ঠান যখন উৎপাদন করি কিংবা কোন একটি ব্যক্তি অথবা কোন একটি দল একটি পণ্য উৎপাদন করে এবং এই পণ্যটি উৎপাদনের পর পরবর্তী প্রসেসিং এর কাজ নিচে না করে অন্যকে দিয়ে করায় তখন সেই কাজটিকে আউটসোর্সিং বলে।

মূলত 1889 সালে এই আউটসোর্সিং এর সূচনা হয় আমেরিকায় ও ইউরোপ এর মত দেশগুলোর মধ্যে। তবে বর্তমানে পুরো বিশ্বেই আউটসোর্সিং ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান বিশ্বের আউটসোর্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে।

আউটসোর্সিং এর কাজ হল মূলত কোন একটি কোম্পানি একটি কাজ তৈরি করে পরবর্তী প্রসেসিং এর জন্য নিজের কর্মীদের না নিয়ে বাহিরের কাউকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নেওয়া কে বোঝায়। ছাত্র থেকে শুরু করে প্রায় অনেক বেকার মানুষী এখন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করছে। এবং লাভবানও হচ্ছে।

আপনিও যদি আউটসোর্সিং এর কাজ করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়বেন কারণ আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আফসোসিং কিভাবে করতে হয় তার সকল তথ্য দিয়ে দিয়েছি। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নিন।


আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবো

অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন যে আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব, আউটসোর্সিং শেখার উপায় কি? আর যারা আউটসোর্সিংএর কাজ শিখতে চাচ্ছে। তাদের কথা বিবেচনা করে আমি আজকে তাদেরকে জানিয়ে দেবো যে কিভাবে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হয়। আউটসোর্সিং এর কাজ শিখতে হলে আপনাকে প্রথমে কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

অর্থাৎ এই কাজ শেখার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অনলাইন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এবং অনলাইনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আপনার পছন্দমত বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। দক্ষতা অর্জন করা হলে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হল অনলাইনের বিভিন্ন ক্লাইন্ট খুঁজে বের করা যারা অনলাইনের কাজ করে থাকে টাকা উপার্জনের জন্য।

আর তাদের সাথে আপনি যদি ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন অতঃপর আপনি তাদের কাছে বলবেন আপনি অনলাইনের কোন কাজটি করতে চান এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী একটি কাজে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর আপনি আপনার কাজটি দক্ষতার সাথে টাকায় করতে পারবেন।


আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি ?

আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হয়। আউটসোর্সিং এর কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। অনেকের মনেই এ প্রশ্নটি থাকে যে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো কি কি হতে পারে মূলত। 

তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমি এখন বলতে যাচ্ছি এর কাজগুলো মূলত কি কি। এতক্ষণে আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমি আপনাদের আউটসোর্সিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিয়ে দেব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিং এর কাজগুলো কি কি :-

  • আউটসোর্সিং এর কাজ ওয়েব ডিজাইন হতে পারে।
  • অটোক্যাড এর কাজ হতে পারে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ হতে পারে।
  • ডাটা রাইটিং এর কাজ হতে পারে।
  • এডিটিং এর কাজ হতে পারে।
  • ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ হতে পারে।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ হতে পারে।
  • এনিমেশন ডিজাইন এর কাজ হতে পারে।

আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ হতে পারে। আর এসব কাজে আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এই কাজ করার জন্য মূলত আপনার প্রয়োজন মেধা, বুদ্ধি আর পর্যাপ্ত ধৈর্য। এই তিনটি বিষয় যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

আউটসোর্সিং শেখার উপায়

ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তার কাছ থেকে কাজ শিখে নিয়ে আপনি ওয়েবসাইটে মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনাকে কাজ করতে হবে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে উপরোক্ত কাজগুলোর শেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে কাজগুলো করতে হবে আপনাকে। তবে শুধু কাজগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করলেই চলবে না। এ কাজগুলো করতে হলে আপনার প্রচুর ধৈর্য এবং সময় প্রয়োজন। এই দুটি জিনিস যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে আপনি কখনোই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন না।

আউটসোর্সিং কি ভাবে করব

এখন অনেকের প্রশ্ন হল আউটসোর্সিং কিভাবে করব ? যাদের মধ্যে এই প্রশ্নটি রয়েছে তাদেরকে আমি বলব আপনার উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন তবে এজন্য আপনাকে আমার পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়তে হবে। পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে এবং বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ করব।

আমি ওপরে জানিয়ে দিয়েছি আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত কি কি। আর আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে আগে উপরোক্ত কাজ গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

আর আপনি যদি নিজে থেকে দক্ষতা অর্জন না করতে পারেন তাহলে কোন একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে অথবা ফ্রিল্যান্সিং শিখানো হয় এমন প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি কাজগুলো শিখে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি

মূলত ফ্রিল্যান্সিং হল আউটসোর্সিং। আর এই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর অর্থ হলো মুক্ত উপায়। আমি উপরে আপনাদেরকে বলে দিয়েছি যে আউটসোর্সিং মূল অর্থ কি। তবে আরও ভালো করে আমি আপনাদের আবারো জানিয়ে দিচ্ছি যে আউটসোর্সিং কি। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বলতে অনলাইনে কোন এক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেওয়া কে বোঝায়।

আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে ধারণা ও দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। আর আমি প্রথমেই আলোচনা করেছি যে কিভাবে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হয়। কিংবা শেখার উপায়। আশা করি নতুন করে আর বলার প্রয়োজন নেই।

আউটসোর্সিং থেকে আয়

নানাভাবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। পূর্বে আমরা জেনেছি আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি এবং আউটসোর্সিং মূলত কি সে সম্পর্কে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি সত্যিই টাকা আয় করা যায় নাকি করা যায় না। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমি বলব আউটসোর্সিং থেকে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা যায়।

এমনকি প্রতি মাসে আপনি লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন এই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে। আউটসোর্সিং এর কাজ করতে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন, মেধা বুদ্ধি, ধৈর্য, সময় থাকলেই চলবে।

তবে হ্যাঁ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে আউটসোর্সিং করার থেকে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করলে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। তবে নিজস্ব ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন। কারণ নিজস্ব ওয়েবসাইট নিজ হাতে সাজাতে অনেকটা সময় লাগে যার কারণে ইনকাম আসতে একটু দেরি হয়। তবে একবার ওয়েবসাইট প্রস্তুত হয়ে গেলে আর কোন চিন্তার প্রয়োজন হয় না। লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।


আউটসোর্সিং এর অসুবিধা

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে নিলে অনেক সময় কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’র গোপনীয়তা তৃতীয় পক্ষ দ্বারা ভঙ্গ হতে পারে।

যার ফলে যখন কোন কোম্পানি এস আর, পেরোল এবং নিয়োগ সেবাকে আউটসোর্স করে দেয় তখন প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন সময় বায়ারগণ সঠিক আউটসোর্স কর্মে খুঁজে ব্যর্থ হলে যথাসময়ে তার কাজটি সম্পন্ন নাও করে নিতে পারে। সেজন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। তার পাশাপাশি নিজস্ব পরিমণ্ডলে ব্যাপক আর্থিক হতে সম্ভাবনা দেখা দেয়।

যদি সার্বিক বিবেচনায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করিয়া নেওয়া টাকা সাশ্রয় হয়। কিন্তু কিছু হিডেন কস্ট থাকতে পারে।

যা পরবর্তীতে বায়ারদের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বায়ার যখন কোন বাইরের কোম্পানির সাথে আউটসোর্সিং এর চুক্তি করবেন।তখন প্রযুক্তির শর্ত মোতাবেক তার বিভিন্ন ধরনের খরচ বৃদ্ধি পাবে।আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলোকে ভালোভাবে প্রচলন করে, মুনাফা সৃষ্টি করতে হয়।

আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব ?

বাইর করতে কাজের মূল্য নির্দিষ্ট করে থাকলে এবং সব সময় এই হার একই রকম থাকলে। তখন মুনাফা সৃষ্টির জন্য উক্ত কোম্পানির কাছ থেকে যে পথটি খোলা থাকে। সেটি হল খরচ কমানো।আর এখানে এই কাজটি করতে গেলে কাজের মান নেমে যেতে পারে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার টাকা নিজ দেশে উত্তোলন করতে গিয়ে। ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।

যেমন- ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডের মধ্যে তাদের উপযোগী মেথরটি গ্রহণ করতে হয়।

বিভিন্ন সময় নিজ দেশে সেবা চালু নাও থাকতে পারে। যেমন- পেপাল একাউন্ট আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু চালু নেই।

তাই আমাদের বাধ্য হয়ে পেওনিয়ার এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে, টাকা উত্তোলন করতে হয়।


শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে।

আপনারা যারা আউটসোর্সিং সেক্টরের যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত হবেন। তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে বিশেষভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

তো আমাদের আজকের লেখা আর্টিকেল আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এখানে সমাপ্তি ঘোষনা করা হলো। আপনার যদি কোন প্রশ্ন উত্তর জানার থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সংক্রান্ত নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।


আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments