মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা কিছু এন্ড্রয়েড এপস
ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন হয় আমাদের । আর এজন্য একটি ভালো ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার দরকার। আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন, তাহলে আজকের Best 5 video editing app লিস্টটি আপনার জন্যই।
আর্টিকেলটিতে উল্লেখ করা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যারগুলোর মাঝে আপনি ফাইনাল কাট প্রো বা অ্যাডোব প্রিমিয়ার প্রো ইত্যাদি কম্পিউটার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মতো অভিজ্ঞতা পাবেন না, তবে আপনি চাইলে এই অ্যাপগুলো দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং অবশ্যই করতে পারবেন।
1. FilmoraGo – Video Editor for free
FilmoraGo একটি সহজ ও শক্তিশালী ভিডিও বানানোর এপ্লিকেশন, অনেক professional YouTuber রা এটাকে ব্যবহার করে থাকেন। সকল ধরণের সাধারণ থেকে advanced functions যেমন, ভিডিওর সাথে music, title ও effects যোগ করা, ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ধরণের theme বেছে নেওয়া, video cutting এবং trimming সহ সব ধরণের editing options আপনারা পাবেন।
FilmoraGo এর কিছু special features দেখুন –
- এডিট করার সময় real-time ভিডিও প্লে করে দেখতে পারবেন।
- অনেক বড় সংখ্যাকে templates এবং video effects আকারে পাবেন।
- এখানে আপনারা অনেক ধরনের professional editing tools পাবেন।
- এখানে আপনারা বেশিরভাগ ফ্রীতেই পেয়ে যাবেন।
FilmoraGo app সবার মধ্যে অনেক জনপ্রিয় এবং বেশিরভাগ youtuber রা এই application ব্যবহার করে থাকেন মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য।এখানে আপনারা অনেক ধরনের professional editing tools পাবেন।
2. জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং এপস (ইনশট- Inshot)
ইনশট ভিডিও এডিটর হল খুবই সাধারণ একটি ভিডিও এডিটর যা ফিল্টার, ফেইড ইন এবং আউট, ভিডিও কাটা, ভিডিও ট্রিমিং এবং ভিডিও যোগ করার মতো বিষয়গুলোকে বেশ সহজ করে তুলেছে। এটিতে একাধিক ভিডিও এবং অডিও যুক্ত করাও সম্ভব।
এর স্টিকার প্যাক, টুলসেট, স্পীড কন্ট্রোল এবং অন্যান্য ফিচার এটিকে ইউটিউব, ফেসবুক এবং এর অনুরূপ প্ল্যাটফর্মের জন্য ফ্রি ভিডিও এডিটের জন্য বেশ দারুণ জনপ্রিয় করে তুলেছে।
(ইনশট- Inshot) এর মেইন ফিচার:
3. সহজ এবং সেরা ভিডিও এডিটিং এপস (ফিল্মমেকার-Filmmaker)
বর্তমানে পাওয়া সেরা এবং সহজ ফ্রি ভিডিও এডিটর অ্যাপের মধ্যে মুভি মেকার সফটওয়্যার হলো ফিল্মমেকার। আপনি ভিডিও কন্টেন্ট, ক্রপ এবং পুনর্বিন্যাস করার পাশাপাশি ফোকাল পয়েন্ট সেট করা যায় ।
ফিল্মমেকার অ্যাপটিতে অনেক ধরনের ভিডিও ইফেক্ট রয়েছে, এর পাশাপাশি আপনি আপনার নিজস্ব কাস্টম ফিল্টার ডিজাইনও করতে পারবেন, এবং এর কার্যকারিতা খুব বেশি শক্তিশালী নয়।
ফিল্মমেকার অ্যাপটিতে সংগীত/অডিও যুক্ত করা এবং আরও অনেক বেসিক ফিচারও রয়েছে। অ্যাপটি প্রথমবার পাবলিশ হওয়ার পর থেকেই কিছু বাগ সমস্যার সাথে লড়াই করেছে, কিন্তু এপসটি এখন খুবই ভাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার টি পাচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
ফিল্মমেকার এপস এর মেইন ফিচার:
4. সেরা এবং উন্নতমানের ভিডিও এডিটিং এপস WeVideo
ভিডিও এডিটিং এপস WeVideo এর ব্যবহারও এখন প্রচুর। এটির ইন্টারফেস অন্য ভিডিও এডিটরগুলোর চেয়ে বেশি সুন্দর বলে আমি মনে করি। এটা Basic Streaming And Splitting Function ছাড়াও স্টক ফুটেজ এবং অডিও অ্যাক্সেস সাপোর্ট করে। এতে স্লো মোশন, গ্রীন স্ক্রিন এবং ওয়েবক্যাম রেকর্ডিং এর সুবিধা আছে। এছাড়া Facebook ও Twitter এর সাথে ভিডিওগুলো একীভূতকরণের জন্য নানা ধরণের সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যবসা নিয়ে যারা ভিডিও তৈরির কাজ করেন এটা তাদের জন্য সেরা এবং উপযোগী এপস হবে।
সুবিধা
- এটাতে গ্রীন স্ক্রীনের মাধ্যমে রিমুভ করা যায়।
- এটা মোশন টেক্সট এবং অডিও এক্সপার্ট।
- ওয়েবক্যাম রেকর্ডিং হয়।
- WeVideo এপস এর 4k UHD রেজুলেশন।
- ক্লাউড লাইব্রেরিতে রেডি টেমপ্লেট রয়েছে।
- স্লো মোশন ভিডিও করা যায়।
অসুবিধা
- WeVideo এপস এর ওয়াটার মার্ক নেই।
- কিছু সিস্টেমের জন্য পে করতে হয়।
- এটার স্টক ফুটেজ অ্যাক্সেস নেই।
⟴Download This App
5. সহজ এবং জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং এপস (Shotcut)
Shotcut এপসটি বর্তমানে আরও একটি জনপ্রিয় অ্যাপ। Shotcut এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ফাইভ মিলিয়নের বেশি। এর মাধ্যমে আপনারা অনেকগুলো সুবিধা পেয়ে যাবেন। এই এপস টি বিনামূল্যে, ওপেন সোর্স, ক্রস প্লাটফর্ম এর ভিডিও এডিটর। এই এপস টি আপনাকে নেটিভ এডিটিং করতে দেয়।
মাল্টি ফরম্যাট টাইমলাইন এবং 4K রেজুলেশন সাপোর্ট করে। এটি Drug and Drop সহ একটি অসাধারণ ইন্টারফেসে তৈরি। এতে এমন একটি কালার সার্কেল আছে যা প্রফেশনাল গ্রেডের কালার কারেকশন এ সাহায্য করতে পারে। ভিডিও এডিট করার জন্য আপনি এই এপসটির মধ্যে অনেকগুলো টুলস পেয়ে যাবেন।
সুবিধা
- Shotcut এপসটি লিনাক্স, ম্যাক ও উইন্ডোজে সব ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উপযোগী
- এখানে ফ্রিতে অনেক ভাল ভাল টুলস ব্যবহার করতে পারবেন।
- এটি ফুল ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম।
- এর কাছে দারুণ সব ফিল্টার ও এফেক্টের এর দারুন সব কালেকশন আছে।
- ফ্রিতে ১০৮০ Pixel এ সেভ দিতে পারবেন।
অসুবিধা
- এটিতে লিনাক্সের জন্য তেমন উপযোগী নয়।
- Shotcut এপস ফিল্টারের কালেকশন থাকলেও তাদের Preview দেখা যায় না।
- ২৮০+ সাউন্ড এফেক্ট সহ ফ্রী স্টক লাইব্রেরি থাকলেও তা সীমীত।
- রেডি টু ইউজ টেমপ্লেট নেই।
- জাস্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই গ্রাহকদের সাপোর্ট দেয়া হয়।
Shotcut এপস দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিট করা যায়
প্রথমত আপনি একটি ভিডিও সিলেক্ট করুন। তারপর সেখানে নিচে Edit অপশন থেকে Remove background অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড চলে যাবে। এরপর আপনি কোনো কালারের ব্যাকগ্রাউন্ড এড করতে চাইলে, সেখানের Background অপশনে ক্লিক করে নিজের পছন্দমতো কালার চয়েস করুব।
অতঃপর উপরের সেভ অপশন থেকে Export করলেই সেভ হয়ে যাবে।
পরিশেষে
এই লেখাতে আমি আপনাদের মাঝে দারুন কিছু ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার এর নাম এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে বললাম। এখানে সহজভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আমার এই লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন