Ram কি? Ram কত প্রকার এবং এর কাজ কি ?

 


Ram কি ? র‌্যাম কত প্রকার এবং এর কাজ কি ?


বর্তমান সময়ে যারা নিজের ব্যবহারের জন্য একটি কম্পিউটার বা মোবাইল কিনবেন তখন প্রথমে যে, বিষয়টির উপর খেয়াল রাখতে হতে সেটির নাম হলো র‌্যাম।

এর মানে হল কম্পিউটার বা মোবাইলের কত GB র‌্যাম ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দেখি নিয়ে থাকি। আমরা সকলেই জানি, মোবাইল বা কম্পিউটারে যত বেশি GB’র র‌্যাম ব্যবহার করা হবে ঠিক তত বেশি ডিভাইস গুলো ফাস্ট কাজ করবে।

এছাড়া, আপনি নতুন ডিভাইস ক্রয় করার সময় জানতে চান তার মধ্যে কি কি উপাদান ব্যবহার করা আছে।

বর্তমান সময়ে টেকনোলজির দুনিয়ায় আপনার ক্রয় করার ডিভাইস এর মধ্যে থাকা অনেক কিছু উপাদান সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরী। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে র‌্যাম।

আপনি মনে করুন নিজের ব্যবহার করার জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয় করেছেন। এখন কম্পিউটারের ভেতরে থাকা উপাদান গুলো হচ্ছে মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, গ্রাফিক্স কার্ড, এসএসডি, কেবিনেট, র‌্যাম ইত্যাদি।

উক্ত উপাদান গুলোর মধ্যে আমরা কিছু উপাদান সম্পর্কে আমাদের এই সাইটে আপনাকে আলাদা ভাবে পোস্ট করে জানিয়েছি, সেই প্রেক্ষিতে আজ আমি আপনাকে জানাব র‌্যাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ?

র‌্যাম এর কাজ কি বা র‌্যাম কিভাবে কাজ করে ?

আমরা প্রথমেই উক্ত আলোচনাতে বলেছি, মোবাইল বা কম্পিউটার এর মতো ডিভাইস গুলোতে র‌্যাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উক্ত ডিভাইস গুলোতে র‌্যাম যদি না থাকে তাহলে, কোন ডিভাইস কখনও নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে পারবে না।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে র‌্যাম এর কাজ কি?

তো চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-

র‌্যাম মূলত ব্যবহার করা হয় একটি অস্থায়ী স্টোরেজ হিসেবে। আপনি যখন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের কাজ করবেন তখন অনেক গুলো ডাটা জমা হয়ে থাকবে।

আর উক্ত চলমান ডাটা গুলো কম্পিউটার এর যে, অংশে এসে জমা হবে তাকে র‌্যাম বলা হয়। আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন শুধু মাত্র ডাটা গুলো জমা রেখেই র‌্যাম এর কাজ শেষ নয়।

র‌্যাম এর কাজ হলো সংরক্ষিত ডাটা গুলো প্রসেসরের মাধ্যমে প্রসেস করা হলে র‌্যাম এর মূল কাজ। আমাদের করা নির্দেশ মোতাবেক র‌্যাম এর মাধ্যমে কম্পিউটার কাজ করে থাকে।

আপনি মনে করুন- আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার কে নির্দেশ প্রদান করলেন একটি অ্যাপ বা সফটওয়ার চালু করার জন্যে, এখন এই নির্দেশ সিপিইউ এর কাছে চলে যাবে এবং সিপিইউ নির্দেশ দিবে র‌্যাম কে।

এখন র‌্যাম সেই অ্যাপ বা সফটওয়্যার কে ইন্টারনাল মেমোরী থেকে নিয়ে রান করবে। তার পরে সেই সফটওয়্যার বা অ্যাপ চালু হবে।

আপনি মনে রাখবেন, যখন কোন কম্পিউটার সফটওয়্যার বা মোবাইল অ্যাপ ইনস্টল করবেন সেই সময় সেটি ইন্টারনাল মেমোরী বা হার্ডডিস্কের মধ্যে লোড হয়।

আপনি যখন সফটওয়্যার বা অ্যাপকে রান করাবেন তখন সেটি রান করাবে র‌্যাম নিজে। এখানে র‌্যাম যত বেশি জিবির থাকবে ঠিক তত বেশি দ্রুত আপনার ফাইল গুলো চালু হতে সাহায্য করবে।

মোট কথা হচ্ছে- আপনার দেওয়া নির্দিশ মোতাবেক সিপিইউ ও র‌্যাম কাজ  করে থাকে। তবে আপনি র‌্যাম সরাসরি নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন না।


র‌্যাম কি? (What is Ram)

কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের র‌্যাম সম্পর্কে আমরা সকলেই পরিচিত। কারণ র‌্যাম কম্পিউটার বা মোবাইলের কার্যকারীতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উক্ত র‌্যাম সাধারণত মাদারবোর্ড এর সাথে যুক্ত করা থাকে। যা সুপার ফাস্ট অস্থায়ী মেমোরী হিসেবে কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস বন্ধ করলে র‌্যামের মধ্যে সেভ করা সকল তথ্য গুলো মুছে যাবে। কম্পিউটারে যে সকল র‌্যাম ব্যবহার করা হয় সে গুলোকে এক ধরণের স্টোরেজ ডিভাইস বলা হয়।

মোট কথা একটি র‌্যাম যত বেশি জিবির হবে ঠিক তত বেশি আপনার ডিভাইস ফাস্ট বা দ্রুত ভাবে কাজ করবে।

অনেক সময় দেখা যায় কম জিবির মানে 512 এমবি বা 1 জিবির র‌্যাম কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে যুক্ত করা থাকে।

আর সেই সকল কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ করতে গেলে বিনা কারণেই হ্যাং হয়ে যায় আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

আপনি যদি উক্ত বিষয়টি অনুসরণ করেন তাহলে বুঝে গেছেন র‌্যাম আসলে কি। যদি না বোঝে থাকেন তাহলে দয়া করে উক্ত আলোচনাটি আরো একবার পড়ুন।


র‌্যাম এর পূর্ণ রুপ কি ?

র‌্যাম একটি তিন অক্ষরের সংক্ষিপ্ত নাম। Ram এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Random Access Memory. আশা করি আপনি র‌্যাম এর পূর্ণরুপ সম্পর্কে বুঝে গেছেন।

Ram কত প্রকার ?

উপরিউক্ত আলোচনায় আপনাকে জানানো হলো র‌্যাম কি? এবং র‌্যাম এর পূর্ণরূপ কি? এখন আমি আপনাকে জানাব র‌্যাম কত প্রকার এই সম্পর্কে।

র‌্যাম কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-

  1. Static Ram
  2. Dynamic Ram


Static Ram এর কিছু সুবিধা যেমন-

  • উক্ত র‌্যাম অনেক দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা রাখে।
  • এটি অনেক ব্যয় বহু র‌্যাম।
  • উক্ত র‌্যামে পর্যায়ক্রমে রিফ্রেস করার দরাকর হয় না।
  • কম্পিউটার সিস্টেম এ ক্যাশ মেমোরী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Dynamic Ram কী ?

আমরা কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইসে যে র‌্যাম ব্যবহার করি সেটিকে ডায়নামিক র‌্যাম বলা হয়।

উক্ত ডায়নামিক র‌্যাম এর দাম অনেক কম এবং স্লোতে কাজ করে। তাই আপনারা সব সময় কষ্ট হলেও চেষ্টা করবেন মোবাইল ও কম্পিউটার ক্রয় করার সময় বেশি জিবির র‌্যাম দেখে কিনবেন।

Dynamic Ram এর সুবিধা যেমন-

  • উক্ত র‌্যাম স্ট্যাটিক র‌্যাম এর চেয়ে অনেক অল্প দামে পাওয়া যায়।
  • উক্ত র‌্যাম অন্যান্য র‌্যাম এর তুলনায় অনেক ছোট।
  • এখানে প্রচুর সংখ্যক ডাটা সংরক্ষণ করে রাখার ক্ষমতা রাখে।
  • উক্ত র‌্যাম বারবার রিফ্রেস করার প্রয়োজন পড়ে না।
  • উক্ত র‌্যাম এর বিদ্যুৎ খরচ তুলনামুলক ভাবে অনেক অল্প।


ফোনের Ram কিভাবে বাড়ানো যায়

অনেকেই বলে থাকে যে ফোনের র‌্যাম বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে কিন্তু ফোনের Ram বাড়ানো যায় না। ফোনের যে আপনার মেমোরি রয়েছে সেটাকে চাইলে আপনি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

যেমন ধরুন আপনি একটি মেমোরি কার্ড লাগিয়ে দিলেন 64gb হোক বা 128 জিবি সে ক্ষেত্রে আপনার মেমোরি স্টোরেজটা বেরে গেল। কিন্তু রেম কোন কিছুতেই বাড়াতে পারবেন না। র‌্যাম হচ্ছে একটা  সুক্ষ্ম জিনিস। এটা অনেকটা কস্টলি যেটা আপনি চাইলে বাড়াতে পারবেন না।


শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন র‌্যাম কি? র‌্যাম কত প্রকার এবং এর কাজ কি।আর এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 


আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments