কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি ? What is a computer virus? What is the way to avoid computer viruses?

 




কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি ?


কম্পিউটার ভাইরাস, আমাদের মধ্যে অনেকেই এই শব্দটি অনেক বার শুনেছেন এবং জানেন যে, ভাইরাস আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, আমরা এর ব্যাপারে জানাটা বা এর প্রতিরোধের জন্য কিছু করাটা জরুরি মনে করিনা।


কম্পিউটার ভাইরাস কাকে বলে ?

কম্পিউটার ভাইরাস, এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম (computer program) বা ফাইল (file) যে ব্যবহারকর্তার অনুমতি বা সচেতনতার ছাড়াই কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে এবং আস্তে আস্তে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যায়। এর বাইরে, ভাইরাস যেকোনো কম্পিউটারে কখন কিভাবে ঢুকে যেতে পারে, সেটা বুঝে পাওয়া অনেক কঠিন।


ভাইরাস এর মূল কাজ হলো, সে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকে, অন্য প্রোগ্রাম বা ফাইল গুলিকে মোডিফাই (modify) কোরে নিজের কিছু ক্ষতিকারক কোড প্রোগ্রাম গুলিতে লিখে দেয়।


এতে, আপনার কম্পিউটারের অন্যান্য প্রোগ্রাম ফাইল গুলি, সেই ক্ষতিকারক ভাইরাসটির মতেই কাজ করা শুরু করে দেয়।

এবং তাই, আপনারা অনেক সময় লক্ষ করেছেন হয়তো, আপনার কম্পিউটারে হটাৎ কোনো ফাঙ্কশন (program) নিজেই শুরু হয়ে গেলো, কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়ে গেলো, সিস্টেম fail বা এমন অনেক সন্দেহজনক প্রসেস যেগুলি নিজেই হচ্ছে এবং আপনি করছেননা।


কম্পিউটারে ভাইরাস কিভাবে ঢুকে ?

আপনার কম্পিউটার বা সিস্টেমে অনেক সহজে কিছু মূল কারণে ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে। সেগুলি হলো –


ইন্টারনেটের মাধ্যমে – যদি আপনি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে অনলাইন অনেক সংক্রমিত (infected) ওয়েবসাইটের থেকে আপনার computer এ ভাইরাস ঢুকতে পারে। ৭০% লোকেদের কম্পিউটারে অ্যাডওয়্যার (adware) এবং malware, spyware ভাইরাস ইন্টারনেট থেকেই সিস্টেমে এসেপড়ে।

 (USB) ইউ এস বি ডিভাইস থেকে –  আমরা অনেক সময় অনেক রকমের USB device যেমন, pen drive, অন্য mobile থেকে, hard disk থেকে অনেক রকমের ফাইল নিজের কম্পিউটারে কপি করে রাখি। এবং, এই ফাইল গুলি কপি করার সময় আমাদের কম্পিউটারে অন্যদের কম্পিউটার থেকে ভাইরাস অনেক সহজে ঢুকে যায় এবং আমরা বুঝতেও পারিনা।

Email attachment থেকে – আমাদের মেইল আইডি তে প্রতিদিন অনেক রকমের ইমেইল আসে। এবং, এই আশা ইমেইল গুলিতে ফাইল এটাচমেন্ট (attachment) এর মাধ্যমে ভাইরাস ঢুকতে পারে।


কয়েকটি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম -

ভাইরাস  জিনিসটা আসলে খুবই মারাত্নক তা সে মানুষের ক্ষেত্রে হোক বা কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হোক এর থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এর থেকে পরিত্রান পেতে হয় তাই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরী। নিচে ১০টি ভয়ংকর কম্পিউটার ভাইরাসের নাম উল্লেখ করা হলোঃ


১. ক্রিপ্টোলকার (Cryptolocker)

২. স্টর্ম ওয়ার্ম (Storm Worm)

৩. স্যাসার ও নেটস্কাই (Sasser & Netsky)

৪. মাইডুম (MyDoom)

৫. এস কিউ এল স্ল্যামার

৬. নিমডা (Nimda)

৭. কোড রেড ও কোড রেড-২ (Code Red and Code Red II)

৮. দ্য ক্লেজ ভাইরাস (The Klez Virus)

৯. আইলাভইউ (ILOVEYOU)

১০. মেলিসা (Melissa)


কম্পিউটার ভাইরাস কত সালে আবিস্কৃত হয় এবং কে আবিস্কার করেন

কম্পিউটার ‘ভাইরাস’ ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর জন্ম লাভ করেন। এই দিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার লেহিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক এক সেমিনারে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত একজন ছাত্র যার নাম ফ্রেড কোহেন প্রথম একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম প্রদর্শন করেন। তিনি একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ছোট্ট একটি সংকেত বা কোড প্রবেশ করিয়ে মাত্র পাঁচ  মিনিটের ভিতর উক্ত কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন। 


এছাড়াও তিনি এই একই কোড বা সংকেত ব্যবহার করে আরও চারটি প্রদর্শনীতে গড়ে মাত্র আধঘণ্টা সময়ে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে পুরো কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। 


লেন অ্যাডলেম্যান যিনি কোহেনের উপদেষ্টা হিসেবে  পরিচিত। তিনি কোহেনের এই নিজে থেকেই নিজের কপি বা অনুলিপি সৃষ্টির প্রোগ্রামটিকে ভাইরাসের সাথে তুলনা করেন এবং ইহাকে ‘ভাইরাস’ নামে অভিহিত করেন। তখন থেকে এই ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রামের নাম হয়ে গেল কম্পিউটার ভাইরাস।


কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মতে, এটাই প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস নয়। তাদের মতে ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ১৫ বছর বয়সীএক কিশোর যার নাম রিচ স্ক্রেনটা এমন একটি প্রোগ্রাম বা কোড লেখে, যা ফ্লপি ডিস্ক এর মাধ্যমে অ্যাপল টু কম্পিউটারকে সংক্রমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রোগ্রামটি  প্রতি ৫০ বার পরপর কম্পিউটার রিবুটিংয়ের সময় একটি ছোট্ট বার্তা দেখাত। কিন্তু এই পুরো বিষয়টি ছিল মজা করার উদ্দেশ্যে। 


রিচ স্ক্রেনটা ও তার বন্ধুদের গণ্ডির বাইরে কেউ এই বিষয়টি জানত না এবং এটিকে ভাইরাস বলা হতো না। আবার অনেকে বলে থাকেন কম্পিউটারের ১ম ভাইরাসের নাম ‘ক্রিপার’ যা ১৯৭১ সালে আবিস্কৃত হয়। রবার্ট (বব) থমাস নামে এক ব্যক্তি যিনি কেমব্রিজ ভিত্তিক বিবিএন এ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে কর্মরত ছিল। তিনিই মূলত ‘ক্রিপার’ এর আবিস্কারক। তিনি ছোট একটা প্রোগ্রাম লেখেন, যা নিজে নিজেই রেপ্লিকা বা  অনুলিপি তৈরি করতে পারত। এটা ছিল পরীক্ষামূলক।


কম্পিউটার ভাইরাস নামক প্রোগ্রামগুলো জীবদেহের ভাইরাসের মতোই আচরণ করে বিধায় কম্পিউটারের এই প্রোগ্রামগুলিকে কম্পিউটার ভাইরাস নামে  অভিহিত করা হয়। জীবদেহের ভাইরাস যেমন এক শরীর হতে অন্য শরীরে ছড়াতে সক্ষম, তেমনই কম্পিউটার ভাইরাস ও এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়াতে পারে। জীবদেহের ভাইরাস ও কম্পিউটার ভাইরাস দুটোই আকারে ছোট এবং ক্ষতিকর।


কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

কম্পিউটারে ভাইরাস থাকার লক্ষণ গুলোর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো নিম্মরুপঃ


  • কম্পিউটার হঠাৎ করে রিস্টার্ট হওয়া।
  • কম্পিউটার চলতে চলতে হ্যাং হওয়া।
  • কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া।
  • কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মেমোরি হ্রাস পায় ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
  • কম্পিউটার অন হতে বেশি সময় লাগে।
  • কাজ করার সময় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • হার্ড ডিক্সে ফ্রি  স্পেস কমে যায়।
  • কোন নতুন প্রোগ্রাম ইনস্টল করার সময় অনেক বেশি সময় নিবে।
  • কম্পিউটারে সেভ  করে রাখা ফাইলগুলি এমন নাম ধারন করবে যা পড়া যায় না।
  • অনেক ফাইল হিডেন করে দিতে পারে। 

অনেক সময় এরকম হয়, সিস্টেমে ভাইরাস ধুকে থাকে কিন্তু তার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়না। লক্ষণ, আলাদা আলাদা ভাইরাসের আলাদা আলাদা হতে পারে। সেটা নির্ভর করে তার কাজের ওপরে এবং তাকে কিসের জন্য বানানো হয়েছে সেটার ওপরে।


উদাহরণ স্বরূপে, 

যদি, আপনার কম্পিউটারে নিজে নিজেই বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে, ব্রাউসারে pop-up পেজ খুলছে, automatically অন্য অন্য ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট খুলে যাচ্ছে, তাহলে সম্ভব এটাই যে আপনার কম্পিউটারে “Adware virus” রয়েছে।


অনেক সময়, আপনার সিস্টেমের ভেতরে ভাইরাস চুপ করে বসে থাকে এবং আস্তে আস্তে সিস্টেম বা প্রোগ্রাম ফাইল গুলি এডিট করে তাতে নিজের কোড বসিয়ে দেয়। যেমন, self -replicating ভাইরাস।

এক্ষেত্রে, আপনি তাদের ধরতে পারবেননা কিন্তু কিছু সাধারণ অসুবিধা যেমন, কম্পিউটার নিজেই রিস্টার্ট হওয়া, অত্যাধিক হ্যাং হওয়া, এরর (error) মেসেজ আশা আদি আপনার সন্দেহের কারণ হতে পারে।


এর বাইরেও,


  • ইন্টারনেট স্লো চলা।
  • কম্পিউটার অসাধারণ ভাবে কাজ করা।
  • হটাৎ এক জায়গায় হ্যাং হয়ে যাওয়া। (Sudden freeze and crash).
  • নিজে নিজে এপ্লিকেশন (application) চালু বা বন্দ হয়ে যাওয়া।
  •  সিস্টেম এরর দেখানো।
  • হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার (hardware বা software) প্রব্লেম পাওয়া।

এই ধরণের অসুবিধা বা জিনিস আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে পাচ্ছেন, তাহলে এগুলি কম্পিউটারে ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।

আর, এগুলি সত্যি virus এর লক্ষন কি না তা জানার জন্য, আপনি একটি কাজ করতে পারেন। আপনি, কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করে, স্ক্যান করে দেখতে পারেন। যদি ভাইরাস থাকে তাহলে সে স্ক্যানের মাধ্যমে ধরা পরবে।


কম্পিউটার ভাইরাস প্রতীরোধের উপায়

আমাদের কম্পিউটার virus দ্বারা আক্রান্ত হলে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কম্পিউটার বার বার হ্যাং হওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়। যার কারনে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। আর এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের ভাইরাস প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে ।


আরটিকেলের এই অংশে আমরা আপনাকে জানাব ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু উপায় সম্পর্কে। আমাদের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারবেন বোলে আশা করছি।


আপনি আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে একটি খুব ভাল অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করুন এবং নিয়মিত এটি আপডেট করতে থাকেন। আপনি যদি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে আপনি প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাসও ব্যবহার করতে পারেন।

অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী রয়েছে। অতএব, বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, বিশেষ করে যেসব ওয়েবসাইট নিরাপদ নয় (http) সেগুলো ব্যবহার থেকে।

  • যে সাইট গুলো জনপ্রিয় এবং নিবন্ধিত নয়, সেই সকল ওয়েবসাইট ভিজিট না করাই সবচেয়ে ভালো হবে।
  • খারাপ ওয়েবসাইট (প-র্ণ) থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি চান যে ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ না করুক, তাহলে আপনার কম্পিউটারে কখনোই প-র্ণ ওয়েবসাইট ওপেন করবেন না। কারণ প-র্ন ওয়েবসাইট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস থাকে।
  • পেনড্রাইভ, ফোন, ডিস্ক বা যে কোন এক্সটারনাল ডিভাইস পিসি তে ব্যবহার করার আগে তা অবশ্যই স্ক্যান করুন
  • আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে নির্দিষ্ট সময় পরে পরে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করতে থাকুন।
  • যদি আপনার কোন ইমেইল প্রেরক সম্পর্কে কোন তথ্য না থাকে, তাহলে এই মেইল খুলবেন না। বিশেষ করে মেইলে থাকা কোন লিঙ্কে ক্লিক করবে না ।
  • অননুমোদিত ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করবেন না। যেমন- কোন মুভি, এমপি থ্রি বা সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি।
  • ডাউনলোড করা জিনিসটি সঠিকভাবে স্ক্যান করে নিন। কারণ এগুলোর মধ্যে ভাইরাসের ঝুঁকি অনেক বেশি।


পরিশেষে 

আজকের পোস্টে আমরা জানতে পারলাম যে কম্পিউটার ভাইরাস কি, কম্পিউটার ভাইরাস এর নাম, কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন, কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।  আশা করি আপনারা কম্পিউটারে ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে যদি আরও কোন বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। বিষয় টি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ


আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments