কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে? উদাহরণ সহ জানুন
আজকের ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনারা সকলেই জানেন, কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় না এমন ক্ষেত্র খুজে পাওয়া কঠিন। আজ কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এই কম্পিউটারের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে প্রতেকেরই কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরী।
বর্তমানে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে একটি computer এর প্রয়োজন আমাদের অবশই হয়ে থাকে।
Word processing, entertainment, school project, office work ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের ঘরে কম্পিউটারের ব্যবহার করে থাকি।
তবে, আপনি কি কখনো ভেবেছেন এই এতটা শক্তিশালী ডিভাইসটি কাজ কিভাবে করে ? (how does computer works in Bangla).
কম্পিউটার কোন পদ্ধতিতে কাজ করে এবং কি কি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে একটি কম্পিউটার আমাদের প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান গুলো দিয়ে থাকে, এবিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেননা।
আসলে কম্পিউটার হলো, বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উপাদান গুলোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত একটি মেশিন।দেখুন, কম্পিউটারের কাজ করার প্রক্রিয়া মূলত একটাই।সেটা হলো,
প্রথমে, ইউসার দ্বারা ইনপুট ইউনিট এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে নির্দেশ বা ডাটা প্রদান করা হয়।
এর পর, ইনপুট ইউনিট এর মাধ্যমে গ্রহণ করা ডাটা বা নির্দেশ গুলোকে প্রসেস করে আউটপুট ইউনিট এর মাধ্যমে ইউসার কে সমাধান বা আউটপুট প্রদান করা।
তবে, এই ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস এর সাহায্যে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হয় কিভাবে, সেটাই হলো আমাদের মূল প্রশ্ন।
তবে, আমাদের আগেই কম্পিউটারের মূল উপাদান গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে হবে। তাহলেই আমরা ভালো করে বুঝতে পারবো যে “কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে থাকে”.
- কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে ?
- কম্পিউটার কোন পদ্ধতিতে কাজ করে
- কম্পিউটার কিসের মাধ্যমে কাজ করে ?
মূলত ৩ টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার নিজের কাজ গুলোকে সম্পন্ন করে থাকে।
- Input
- Process
- Output
ইউসার এর দ্বারা ইনপুট করা ডাটা গুলো প্রসেস করে সেগুলোর সমাধান আমাদের আউটপুট হিসেবে দিয়ে দেয় কম্পিউটার।
সাধারণ ভাবে, কম্পিউটারকে ইনপুট ডাটা বা নির্দেশ দিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা keyboard এবং mouse ব্যবহার করে থাকি।
এবং, ইনপুট ডাটা প্রসেস হয়ে আউটপুট পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে থাকে, মনিটর (monitor), প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টর ইত্যাদি।
এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে,
কম্পিউটারের কাজ করার পদ্ধতি হলো, “ইনপুট ডাটা গ্রহণ করে সেগুলোকে প্রসেস করে ইউসারকে আউটপুট বা সমাধান প্রদান করা”,তবে, এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে কিভাবে ?
কম্পিউটারের মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান (components) সমূহ থাকে, যেগুলোর কিছু নিজস্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।
কম্পিউটার ডিভাইস এর ভেতরে থাকা প্রত্যেকটি উপাদানের সঠিক ও নির্ভুল প্রক্রিয়ার ফলেই একটি কম্পিউটার কাজ করতে পারে।
তাই কম্পিউটারের মূল অংশ বা উপাদান এবং তাদের কাজ গুলোর বিষয়ে জেনেনিলে, আপনারা এর কাজ করার পদ্ধতি অনেকটা বুঝে নিতে পারবেন।
কম্পিউটারের মূল উপাদান গুলো কি কি ?
- CPU
- RAM
- HDD / SSD
- Motherboard
- Video card
- Sound card
- Network adapter
- Power supply unit
কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বিভিন্ন ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত। কম্পিউটার ইংরেজি শব্দ Compute থেকে এসেছে যাকে গণনা যন্ত বলা হয়।
শুরুতে যে কম্পিউটারগুলি তৈরি করা হয়েছিল তা শুধুমাত্র গণনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, তাই কম্পিউটারকে ক্যালকুলেটরও বলা হয়। আধুনিক কম্পিউটার খুবই স্মার্ট, যার মাধ্যমে আমরা মিনিটে অনেক কিছু করতে পারি।
কম্পিউটার কাকে বলে
কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর দেওয়া নির্দেশাবলীকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং এর ভিত্তিতে তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং তথ্যকে আউটপুট হিসেবে দেখায়। এটি সাধারণত তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত।
ইনপুট ডিভাইস যেমন: কীবোর্ড , মাউস
প্রসেসিং ইউনিট যেমন: প্রসেসর
আউটপুট ডিভাইস যেমন: মনিটর, স্পিকার
কম্পিউটারের অর্থ
কম্পিউটার ইংরেজি শব্দ Compute থেকে উদ্ভূত যার বাংলা অর্থ গণনা। তাই কম্পিউটারকে বাংলাতে গণক বা গণনা যন্ত্র বলা হয়।
কম্পিউটার এর বাংলা অর্থ – কম্পিউটার বা কম্পিউটিং ডিভাইস।
কম্পিউটারের পুরো নাম
ইন্টারনেটে, আপনি কম্পিউটারের বিভিন্ন পূর্ণ রূপ দেখতে পাবেন, তবে কম্পিউটারের (Computer) বর্তমান পূর্ণরূপটি নিম্নরূপ –
C- সাধারণত
O – পরিচালিত
M – মেশিন
P – বিশেষ করে
U – এর জন্য ব্যবহৃত হয়
T – প্রযুক্তি
E- শিক্ষামূলক
R – গবেষণা
কম্পিউটারের ফুল-ফর্ম: Computer: Common Operating Machine Purposely Used for Technological and Educational Research। যার বাংলা অর্থ হল প্রযুক্তিগত এবং শিক্ষাগত গবেষণার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহৃত সাধারণ অপারেটিং মেশিন
কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে
কম্পিউটারের আবিষ্কারক
1823 সালে, চার্লস ব্যাবেজ একটি কম্পিউটিং মেশিন তৈরি করেন, যার সাহায্যে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা যায়, তাই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশে অনেকেরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অ্যালান টুরিংকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
কম্পিউটারের ইতিহাস বা প্রজন্ম
কম্পিউটারের প্রজন্ম দেখায় কিভাবে কম্পিউটারের বিকাশ ঘটেছে এবং যে কম্পিউটারগুলি অনেক বড় ছিল তা আজ এত ছোট হয়ে গেছে এবং কীভাবে এটি মানুষের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। কম্পিউটারের বিকাশ পাঁচটি প্রজন্মে বিভক্ত।
কম্পিউটারের প্রথম প্রজন্ম 1940 থেকে 1956
1940 থেকে 56 পর্যন্ত বিকশিত কম্পিউটারগুলি প্রথম প্রজন্মের অধীনে আসে। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে, সার্কিট্রির জন্য ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করা হত এবং মেমরির জন্য ম্যাগনেটিক ড্রাম ব্যবহার করা হত।
এই কম্পিউটারগুলি আকারে এত বড় ছিল যে তারা একটি সম্পূর্ণ ঘরের সমান জায়গা দখল করত। এবং এই মেশিন ভাষা ব্যবহার করা হয়.
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ – ENAIC, UNIVAC, EDVAC।
কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্ম 1956 থেকে 1963
1956 থেকে 63 সালের মধ্যে তৈরি কম্পিউটারগুলি দ্বিতীয় প্রজন্মের অধীনে আসে। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে, ভ্যাকুয়াম টিউবের জায়গায় ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়েছিল, সাথে তাদের আকারও ছোট করা হয়েছিল।
এসব কম্পিউটার কম বিদ্যুৎ খরচ করত। এতে ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ছিল হাই লেভেল প্রোগ্রামিং যেমন COBOL, FORTRAN।
কম্পিউটারের তৃতীয় প্রজন্ম 1964 থেকে 1971
1964 থেকে 71 সালের মধ্যে তৈরি কম্পিউটারগুলি তৃতীয় প্রজন্মের অধীনে আসে। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে ট্রানজিস্টরের পরিবর্তে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) ব্যবহার করা শুরু হয়। এই কম্পিউটারগুলি পূর্ববর্তী উভয় প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে অগ্রসর ছিল।
আইসি ব্যবহারের সাথে সাথে কম্পিউটারের আকার আরও হ্রাস করা হয়েছিল এবং কীবোর্ড, মাউস তাদের মধ্যে ডেটা ইনপুট করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ – IBM 360, ICL 2900
কম্পিউটারের চতুর্থ প্রজন্ম 1971 থেকে 1985
1971 থেকে 1985 সালের মধ্যে তৈরি কম্পিউটারগুলি চতুর্থ প্রজন্মের অধীনে আসে। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হতো। এতে, একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ভিতরে হাজার হাজার সিলিকন চিপ তৈরি করা হয়েছিল। যার কারণে এসব কম্পিউটারের আকার ছোট হয়ে গেছে।
এই কম্পিউটারগুলো খুবই অগ্রসর ছিল, এগুলো আকারে যেমন ছোট তেমনি টেকসই ও সস্তা ছিল। এই প্রজন্মে ব্যক্তিগত কম্পিউটারও তৈরি হতে শুরু করে।
কম্পিউটারের পঞ্চম প্রজন্ম 1985 থেকে বর্তমান পর্যন্ত
1985 সালের পর তৈরি সমস্ত কম্পিউটার পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের অধীনে আসে। এই প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ULSI (আল্ট্রা লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন) প্রযুক্তি থেকে তৈরি, যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপে লক্ষ লক্ষ উপাদান তৈরি করা হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে, আগত কম্পিউটারগুলি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ – ডেস্কটপ, ল্যাপটপ
বাংলাদেশে কম্পিউটারের ইতিহাস
বাংলাদেশে কম্পিউটারের ব্যবহার ষাটের দশকে শুরু হয় এবং নব্বইয়ের দশকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে এদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি পেতে শুরু করে। বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার 1964 সালে পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশন, ঢাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে ইনস্টল করা হয়েছিল।
ষাটের দশকে দেশে-বিদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ব্যাংকিং, বীমা ও ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে; এই সময়ে দেশের অনেক বড় কোম্পানি দামি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে। ষাটের দশকের শেষের দিকে, তৎকালীন হাবিব ব্যাংক আইবিএম 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক আইবিএম 1901 কম্পিউটার ইনস্টল করে। এই কম্পিউটারগুলি, প্রাথমিকভাবে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত, তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের ছিল।
স্বাধীনতার আগে, 1989 সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে একটি IBM 360 কম্পিউটার ইনস্টল করা হয়েছিল। এই সময়ে আদমজি জুট মিলে একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটারও ইনস্টল করা হয়েছিল। পরিধি সীমিত হলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশলের পাঠ্যসূচিতে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হয়। 1972 সাল থেকে, IBM 370, IBM 9100 এবং IBM 4341-এর মতো বড় কম্পিউটারগুলি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে ইনস্টল করা হয়।
কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে
কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রধানত ৩টি প্রসেস থাকে – প্রথমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর দেওয়া নির্দেশনা নেয়, তারপর প্রসেস করার পর আউটপুটে ডেটা দেখায়।
ইনপুট: ব্যবহারকারী ইনপুটের মাধ্যমে কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয় যে সে কী ধরনের তথ্য চায়। ইনপুট ডিভাইস যেমন – কীবোর্ড , মাউস ।
প্রক্রিয়াকরণ: এখন কম্পিউটার ইনপুট করা নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করে। এই অংশের কাজটি যে করে থাকে সেটি হল প্রসেসর।
আউটপুট: এর পরে কম্পিউটার আউটপুট হিসাবে প্রক্রিয়াকৃত ডেটা দেখায়। আউটপুট ডিভাইস যেমন – মনিটর, স্পিকার
কম্পিউটারের প্রকারভেদ
কম্পিউটারগুলিকে তাদের কার্যকারিতা এবং আকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগ করা হয়।
সিস্টেম ভিত্তিক কম্পিউটার
কাজের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
1. এনালগ কম্পিউটার (অ্যানালগ কম্পিউটার)
যে সকল কম্পিউটার তথ্য প্রদর্শনের জন্য এনালগ সংকেত ব্যবহার করে তাদেরকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
এগুলি শারীরিক পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন চাপ, তাপমাত্রা, দৈর্ঘ্য এবং হৃদস্পন্দন পরিমাপ করা।
পারদ স্পিডোমিটার এনালগ কম্পিউটারের উদাহরণ।
2. ডিজিটাল কম্পিউটার
যে সকল কম্পিউটার তথ্য প্রদর্শনের জন্য ডিজিট ব্যবহার করে তাদের বলা হয় ডিজিটাল কম্পিউটার।
তারা 0 এবং 1 এর মধ্যে ইনপুট ডেটা রূপান্তর করে এবং ইলেকট্রনিক আকারে দেখায়। এই তথ্যটি টেক্সট, ইমেজ, গ্রাফিক আকারে দেখানো হয়েছে।
ডেস্কটপ ক্যালকুলেটর হল ডিজিটাল কম্পিউটারের উদাহরণ।
3. হাইব্রিড কম্পিউটার
যে সকল কম্পিউটার তথ্য প্রদর্শনের জন্য এনালগ সিগন্যাল এবং ডিজিট উভয়ই ব্যবহার করে তাদেরকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে।
ইসিজি মেশিন হাইব্রিড কম্পিউটারের একটি উদাহরণ।
আকার অনুযায়ী কম্পিউটারের প্রকারভেদ
আকারের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়-
1. মাইক্রো কম্পিউটার
যে কম্পিউটারগুলো আকারে খুবই ছোট এবং সেগুলোকে ডেস্কে রেখে ব্যবহার করা যায়। তারা আজ পার্সোনাল কম্পিউটার নামেও পরিচিত। এগুলো মূলত দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য তৈরি। এই কম্পিউটারগুলি খুব সস্তায় পাওয়া যায়।
– ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, নোটবুক, ট্যাবলেট ইত্যাদি।
2. মিনি কম্পিউটার
এগুলো মাঝারি আকারের কম্পিউটার, এগুলোর কাজ করার ক্ষমতা এবং এগুলোর খরচ উভয় মাইক্রোকম্পিউটার থেকে বেশি। এক সময়ে একাধিক ব্যক্তি এই ধরনের কম্পিউটারে কাজ করতে পারেন।
3.মেইনফ্রেম কম্পিউটার
এই ধরনের কম্পিউটারগুলি আকারে বড়, তাদের কাজ করার ক্ষমতা এবং তাদের খরচ মিনি এবং মাইক্রো উভয় কম্পিউটারের চেয়ে বেশি।
এই কম্পিউটারগুলি খুব শক্তিশালী এবং একই সময়ে অনেক কিছু করতে পারে। এই কম্পিউটারে এক সাথে হাজার হাজার মানুষ কাজ করতে পারে।
4. সুপার কম্পিউটার
এগুলো হল সবচেয়ে দ্রুতগতির এবং সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, এগুলোর গতি অনেক বেশি এবং এগুলো আকারেও বড়। সুপার কম্পিউটারের দামও বেশি। এটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় –
যেমন- আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পারমাণবিক শক্তি গবেষণার জন্য।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
- কম্পিউটার এক সময়ে লক্ষ লক্ষ গণনা করতে সক্ষম, যা মানুষ সারা বছরেও করতে পারে না।
- কম্পিউটারের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ স্টোরেজে আনলিমিটেড ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।
- কম্পিউটার ফাংশন ত্রুটিহীন. কম্পিউটারের কাজে কোনো ভুল থাকলে তা মানুষের ভুল প্রোগ্রামিংয়ের কারণে হয়ে থাকে।
- আধুনিক কম্পিউটারগুলি একই সাথে অনেকগুলি কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম।
- কম্পিউটার ব্যবহার করে সময় বাঁচে।
- কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল, কিভাবে কাজ করে একটি কম্পিউটার (How does computer works) আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমার সবসময় এটাই চেষ্টা থেকেছে, আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ সঠিক ও কাজের তথ্য দিয়ে থাকতে পারি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন