কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয়

 কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয়



কম্পিউটার কি ? এর ইতিহাস এবং প্রকারভেদ

প্রথমের প্রাচীন কম্পিউটার গুলি গণনাকারী যন্ত্র থাকলেও এখন কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার গুলি বিভিন্ন রকমের আলাদা আলাদা কাজ করতে পারে।


বর্তমান যুগে তাই শিক্ষার ক্ষেত্রেও কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়।তাছাড়া, কর্মক্ষেত্রেও আজকাল সব কম্পিউটার ভিত্তিক কাজ।আগে মানুষের হিসেব করতে অনেক সময় লাগত, অনেক সময়ই সেসব হিসেব ভুল হত।

কিন্তু, কম্পিউটারের  মাধ্যমে সমস্ত হিসেব অনেক দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে হয়ে থাকে।

গোটা বিশ্বের খবরা খবর সংগ্রহ করা থেকে নিজের ভাবনার জগৎ, জ্ঞানের জগৎকে আমাদের বাড়িয়ে তুলতে কম্পিউটার ভীষণ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে ফর্মফিলাপ থেকে শুরু করে যে কোনো বিল পেমেন্ট করা সমস্তটাই অনেক সহজে হয়ে যায়।কেবল একটা ক্লিকে ঘরে বসেই সংযোগ স্থাপন করা যায় বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে।তবে, কম্পিউটারের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও আছে, যেমন বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম, কম্পিউটারের মাধ্যমে হতেই থাকে।

এছাড়াও দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজের ফলে চোখে চাপ পড়ে।

শিশুদের মধ্যেও আজকাল কম্পিউটারে গেম খেলার প্রবনতা অনেক বেশি। সেক্ষেত্র অনেকক্ষন কম্পিউটার ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।

তাই, কম্পিউটারের উপকারিতা গুলির সাথে সাথে অপকারিতা গুলোকেও মাথায় রেখে, সেগুলোর থেকে বিরত থেকে কম্পিউটারের ভালো দিক গুলোতে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।


বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহার (uses of computer)

বর্তমান সময়ে কম্পিউটার বিবিধ ব্যবহার রয়েছে,


এর প্রধান ব্যবহার গুলি হল –

১. শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

২.সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহার

৩.চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহার

৪.ব্যাংকিং এ কম্পিউটার এর ব্যবহার

৫. গবেষণার কাজে

৬. প্রকাশনায় কম্পিউটার এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য

৭.চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে

৮.অনলাইন ব্যবসা বানিজ্যে

৯. আবহাওয়ার পূর্বাভাসে

১০. ট্রাভেল ট্রান্সপোর্ট সংস্থায় ব্যবহার


১. শিক্ষার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি অনেক বেশি আধুনিক, আর এই আধুনিক শিক্ষা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কম্পিউটার।বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বহু পাঠক্রম রয়েছে, যেখানে পাঠদান করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।


এছাড়াও আজকাল অনলাইনে বহু পরীক্ষা হয়ে থাকা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, রেজাল্ট তৈরী হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।কম্পিটারের বিভিন্ন অ্যাপ এবং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিকাশ অনেক সহজেই সম্ভব হচ্ছে।তাছাড়া, বিশ্বের যেকোনো বিষয়, জিনিস, ব্যক্তি বা যেকোনো সমস্যার সমাধান একটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পাওয়া যেতে পারে।আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া গুলির মধ্যে, কম্পিউটার শিক্ষা আজ অনেক জরুরি।


২. সংবাদমাধ্যমে এর ক্ষেত্রে ব্যবহার 

সংবাদপত্রে প্রকাশের মাধ্যম ছাড়াও, দেশে বিদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সংবাদ পৌছে দিতে কম্পিউটারের দ্বিতীয় বিকল্প নেই।সময়ের অভাবে অনেকেই নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তে পারেন না।কিন্তু বর্তমান যুগে, বিশ্বের যে কোনো খবর যে কোনো প্রান্তের মানুষের কাছে নিমেষের মধ্যে পৌছে যাচ্ছে  এই কম্পিউটারের মাধ্যমে।


কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্রেকিং থেকে শুরু করে, যেকোনো খবর ই নিউজ পেপার (e-news paper) এর মাধ্যমে আজ মানুষ পড়তে পারছে।আর চাইলে, কম্পিউটারের মাধ্যমে সেগুলি প্রিন্ট করেও পড়ে নিতে পারছেন।


৩. চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার 



চিকিৎসা শাস্ত্রও এখন অনেক আধুনিক হয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রেও কম্পিউটারের ব্যবহার প্রচুর পরিমানে করা হয়।বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কম্পিউটার পরিচালিত হওয়ায় চিকিৎসাক্ষেত্রেও কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক প্রয়োজনীয়।সি টি স্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইত্যাদি পরীক্ষাসমূহতে কম্পিউটার পরিচালিত যন্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি বাইপাস সার্জারি, মাইক্রো সার্জারির প্রভৃতিতে দ্রুততার জন্য ব্যবহৃত হয় এই কম্পিউটার।

৪. ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে 

এখন প্রত্যেক ব্যাংকেই কম্পিউটারেই সমস্ত কাজ হয়।গ্রাহক দের ডাটা সংরক্ষন থেকে, ক্রেডিট ডেবিটের তথ্য, হিসেব সব ধরণের কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে।কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপ টু ডেট থাকতে পারেন।

৫. গবেষণার কাজে 

গবেষণার কাজের আধুনিক মাধ্যম এবং বৃহৎ মাধ্যম হলো কম্পিউটার।

৬. প্রকাশনায় কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য

বিভিন্ন প্রকাশনার কাজে পুরাতন মুদ্রণ পদ্ধতি বদলে গিয়ে এখন ডেস্কটপ পাবলিশিং বা D.T.P ব্যবহার দেখা যায়।টাইপরাইটেরর বিকল্প হিসেবে কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।এবং এই কম্পিউটারের মাধ্যমে, বিভিন্ন হরফে লেখাটা সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৭. চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে

বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে ব্যবহারের তুলনাহীন।বর্তমান সময়ে আট থেকে আশি সকলেই ভালোবাসে কম্পিটার গেমস।এছাড়াও যে কোনো সময়ে নিজের পছন্দের সিনেমা দেখা, গান শোনা, প্রভৃতিও সম্ভব হয় কম্পিউটারে। আবার চলচ্চিত্রে অ্যানিমেশন থেকে গ্রাফিক্স সবকিছুই হয় কম্পিউটারে।

৮. অনলাইন ব্যবসা বানিজ্যে


অনলাইনকে মাধ্যম করে এখন অনেকেই বিভিন্ন সাইট খুলে ব্যবসা করছে।ফলে সেই সব সংস্থার সাথে যুক্ত অনেক কর্মসংস্থানও বাড়ছে।তাছাড়া, কম্পিউটারের মাধ্যমে blogging, online shopping website, affiliate marketing, freelancing এবং Video upload করে, লোকেরা হাজার লক্ষ টাকা মাসে আয় করে নিচ্ছেন।

৯. আবহাওয়ার পূর্বাভাসে

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ব্যবহার হয় সুপার কম্পিউটার।এই সুপার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে মহাকাশে পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহ, এবং স্যাটেলাইট, যার ফলে প্রায় নির্ভূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

১০. ট্রাভেল ট্রান্সপোর্ট সংস্থায় ব্যবহার 

ট্রাভেল ট্রান্সপোর্ট সংস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখ্যযোগ্য।অনলাইনে টিকিট কাটা থেকে শুরু করে টিকিট বাতিল, হোটেল বুকিং সমস্তটাই কম্পিউটার ব্যবহার করে হয়ে যাচ্ছে।


কম্পিউটার ব্যবহারের সময় যা খেয়াল রাখবেন

তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সব জায়গাতেই কম্পিউটারের ব্যবহার হচ্ছে৷ তবে কম্পিউটারের পর্দা থেকে কতটা দূরে বসা উচিত বা কতটা আলো দরকার আর সঠিকভাবে তা না হলে কী সমস্যা হতে পারে – এ সব নিয়েই এই ছবিঘর৷


কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য

আজকের যুগে অফিস-আদালতের কাজ কম্পিউটার ছাড়া যেন ভাবাই যায় না৷ আর বাড়িতেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত মানুষ৷ মনিটর থেকে ঠিক দূরত্বে না বসা কিংবা অতিরিক্ত বা কম আলো থেকে হতে পারে চোখের নানা সমস্যা, এমনকি ঘাড় ব্যথাও৷ ‘‘কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এ সব সমস্যার কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়’’, বলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা৷

কতটা দূরত্বে বসবেন?

কম্পিউটারের বেশি কাছে বসে কাজ করলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, বিশেষকরে চোখের৷ বেশিরভাগ মানুষই কম্পিউটারের পর্দা থেকে ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসে কাজ করেন৷ এই দূরত্ব ৭৫ সেমি. হলে সবচেয়ে ভালো হয়৷ পরামর্শ দিয়েছে জার্মানির পেশাদারী নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের৷বিগ হাই রেজোলিউশন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অবশ্য এই দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হতে পারে৷

প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিন্ন

সব কিছুই নির্ভর করে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ওপর৷ কারণ প্রতিটি মানুষের বসা, স্ক্রিনের দিকে তাকানোর অভ্যাস, স্বভাব ইত্যাদি সবকিছুই আলাদা৷ তাই আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কে, কীভাবে পর্দার সামনে বসে কাজ করতে আরাম বোধ করেন৷ সঙ্গে যাতে হাত নাড়াচাড়া করার ভালো সুবিধা, যথেষ্ট জায়গা থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ তাছাড়া টেবিল এবং চেয়ারের উচ্চতাও লক্ষ্য রাখা জরুরি৷

আলো বা লাইট নির্বাচন

অনেকেই কম্পিউটারের কাজ করার সময় অভ্যাসবশত ঘরের লাইটটি জ্বালিয়ে রাখেন৷ বাইরে যথেষ্ট আলো থাকলে তো আর ঘরের আলোর প্রয়োজন হয় না৷ তাই নিজেকেই দেখে নিতে হবে কতটা আলো রয়েছে৷ অনেক অফিসেই মাথার ওপরে বিশাল টিউব লাইট থাকে, যাতে অনেকেরই অসুবিধা হয়৷ এক্ষেত্রে টেবিল লাইট ব্যবহার করুন৷ পরামর্শ কোলনন শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাল্ফ ক্রট-এর৷

ব্যবহার করলে কম্পিউটার নষ্ট হয় না

কম্পিউটার ব্যবহার শেখা বা নিয়মিত ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটিমাত্র বিষয় মনে রাখলে খুব দ্রুত সব ধরনের কাজ শিখে ফেলা সম্ভব। আর এই বিষয়টি হলো ব্যবহার করলে কখনো ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন নষ্ট হয় না। ব্যাখ্যা করলে ব্যাপারটা আরও সহজে বোঝা যাবে। কম্পিউটারে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করা হয়, একজন ব্যবহারকারী অ্যাপে কী কী কাজ করতে পারবেন, সেটি নির্ধারিত থাকে এর বাইরে কিছু করার চেষ্টা করলে। সে ক্ষেত্রে বার্তার মাধ্যমে দেখানো হয় যে কাজটি সম্ভব নয়। আর এটি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার যে কোনো একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যাবে।

অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উচিত কম্পিউটারে হালনাগাদ করা অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা। অন্যথায় পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড বা নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম চলে আসতে পারে।

চার্জার লাগিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করা

ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় যতটা সম্ভব চার্জার যুক্ত করে ব্যবহার করা উচিত। চার্জার যুক্ত আছে তাই সারাক্ষণ চার্জ হচ্ছে এবং অতিরিক্ত চার্জ হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমন ধারণা রয়েছে অনেকের। এটি সঠিক নয়, কারণ ল্যাপটপের চার্জ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা সার্কিট থাকে, যেটি নির্ধারণ করে কখন চার্জ হবে আর কখন হবে না। ল্যাপটপে যে ধরনের ব্যাটারি যুক্ত থাকে, সেগুলো সম্পূর্ণরূপে ডিসচার্জ বা চার্জ শেষ করে ফেলা উচিত নয়। দীর্ঘ দিনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে না জানা থাকলে সম্পূর্ণরূপে চার্জ দিয়ে তবেই যথাযথভাবে সেটি রাখা।

তারহীন রাউটার

তারহীন ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে একটিমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ থেকে একাধিক ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। ধরা যাক, বাসায় একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট যুক্ত করা হলো। এরপর এটি যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু একাধিক ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকলে অথবা যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন, তবে সেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিয়ে কাজ হবে না। 

নতুন করে মোবাইলের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হবে। কিন্তু এই ব্রডব্যান্ড কানেকশনটি যদি একটি ওয়াই-ফাই রাউটারে যুক্ত করা হয়, তবে একই সঙ্গে একাধিক যন্ত্র থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে ওই একটি সংযোগ থেকেই। রাউটার ব্যবহার করলে সেটি বাসার মাঝামাঝি কোনো উন্মুক্ত স্থানে রাখা উচিত। ফলে সহজেই নেটওয়ার্ক সিগন্যাল পাওয়া যাবে। আর যত বড় বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা হবে, সেটির ওপর ভিত্তি করে রাউটার কেনা উচিত।


আরো পড়ুন:


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments