আগামীতে কেমন হবে আমাদের পৃথিবী ? What will our world be like in the future?

 আগামীতে কেমন হবে আমাদের পৃথিবী





আজ আমি সম্পূর্ণ দিক দিয়ে আলোচনা করে আপনাদেরকে জানাবো 2050 সালের পৃথিবী বিস্তারিত আলোচনা কিভাবে 2050 সালে পৃথিবী বেঁচে থাকা মানুষদের জীবন যাপন তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে।  কম্পিউটারের দিক দিয়ে 2050 সালের পৃথিবী এক বিশাল উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে। 


2050 সালে পৃথিবীর প্রযুক্তি 

আপনার চোখে 2050 সালে পৃথিবী কেমন হবে সেটা দেখতে পাবেন যদি বেঁচে থাকে মানুষের সঙ্গে কথা না বলি মানুষকে চিনতে পারা যাবে।  সে মানুষের সামনে গেলেই সেই মানুষের প্রতিক্রিয়া কি ভালো না খারাপ তিনি এখন কি ভাবছেন তার আধার কার্ড ডিটেলস ভোটার কার্ড ডিটেলস প্যান কার্ড ডিটেইলস এ টু জেড ডিটেলস আপনি তার দিকে তাকালে দেখতেপাবেন।  




কারণ আপনার চোখে থাকবে এক্সট্রা প্রজেক্ট যেটা বর্তমানে এখন নেই আপনি মানুষের সঙ্গে কথা না বলি জানতে পারবেন মানুষের উদ্দেশ্য জানতে পারবেন।  তার নেগেটিভ পজিটিভ দিক থেকে কিভাবে আপনার অপজিট সাইডের মানুষও আপনার সমস্ত কিছু জানতে পারব বুঝতে পারছেন তো 2050 সালের অবাক করা তথ্য কি। 

বর্তমানপ বিশ্ব জনসংখ্যা ৭৫০ কোটি এই প্রক্ষিতে ২০৫০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ৯৬০ কোটি এর বেশি হবে। বর্তমানে মজুদ যত প্রাইভেট গাড়ি রয়েছে ২০৫০ সালে এই ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুন বেড়ে যাবে। ২০৫০ সালে বড় বড় ট্রান্সপোর্টেশন এর সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

কিন্তু এগুলো চালানোর জন্য জ্বালানিরর পরিমান কমে জাবে। এর জন্য জ্বালানি অন্য পদ্ধতিতে তৈরি করা জাবে।

২০৫০ সালের সব গাড়ি সেন্সর বেস হবে। মানে গাড়ি গুলো চালানোর জন্য কোন ড্রাইভারের প্রয়োজন হবে না।


পৃথিবীর কোনো দেশই গরিব থাকবে না

বিল গেটস বিশ্বসেরা ধনী। বারবার আশার বাণী শুনিয়ে এসেছেন, ২০৩৫ সালের পর পৃথিবীর কোনো দেশই গরিব থাকবে না।

আসলেই কি তাই? উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ। গবেষকরাও এটা মেনে নিয়েছেন এবং বিশ্ব হাঁটছে সে পথেই। ২০৫০ সালে পৃথিবীর কোনো দেশই আর দরিদ্র থাকবে না। বিশ্ববাসীর হাতে হাতে অর্থ না থাকলেও সামগ্রিকভাবে কোনো দেশ দরিদ্র থাকবে না। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ সাল— এই সময়টুকু বিশ্লেষণ করে। এই সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্রতার চরম সীমা পেরিয়ে সচ্ছলতার মুখ দেখেছে। বিশ্ব অর্থনীতি বারবার সংকটের মুখে পড়লেও এটা সত্যি যে, বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে তাতে দরিদ্রতা শব্দটি ২০৫০ সাল নাগাদ ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হবে। তবে এই পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন ও দেশে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা।



২০৫০ সালের লাইফস্টাইল

2050 সালে খাদ্য সংকট আসতে পারে বলে মনে হয় অজানা কোন মাছ সমুদ্রে থাকবে না এবং বস্ত্র মূল্য অনেক বেশি হবে বলে আশাবাদী। তবে এই দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে মানুষ ও মানুষের মস্তিষ্ক কে বেকাপ করে রাখা যাবে বলে জানা গেছে। 


২০৫০ সালে কেমন হবে আমাদের পৃথিবী

নতুন নতুন অনেক অস্ত্র থাকবে 2050 সালে থাকবে। উন্নত প্রযুক্তি আগের প্রযুক্তি ও বর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে কোনো মিল থাকবে না।  

এবং প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেই সময় কম্পিউটার নিজে থেকেই সব কাজ করতে পারবে। রোবট মানুষের প্রয়োজনে থাকবে কম্পিউটার মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করতে সক্ষম হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

২০৫০ সালের মধ্যেই মানুষের হাতে এসে যাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন মানব সভ্যতার গতি-প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হবে।তর তর করে এগিয়ে যাবে অর্থনিতী।কায়িক শ্রম কমবে উৎপাদন ও বেশি হবে।ঝুকিপূর্ণ কাজে মানুষের অংশগ্রহণ কমানো সম্ভব হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষক ডেভিড লেভি বলছিলেন, এমন সময় আসবে যখন মানুষ রোবটের প্রেমে পড়বে এবং বিয়েও করবে রোবট-সঙ্গী বা রোবট-সঙ্গিনী। শুধু তাই নয়, এই বিয়ে আইনসম্মতও হবে।



এআই এর অনেক ব্যবহার ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমা নিয়ে। তবে কল্যাণজনক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে মানুষের জন্য জীবনযাপন অনেক সহজ হবে এমনকি সব জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে রোবট দিয়ে। সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাদের টেলিভিশন চ্যানেললে ‘এআই নিউজ রিডারের’ নিয়ে এসেছে। স্যুট টাই পরা ওই সংবাদ উপস্থাপককে দেখতে সম্পূর্ণ মানুষের মতো।


চালকবিহীন গাড়ি

২০৫০ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ির ব্যবহার প্রসারিত হবে বিশ্বব্যাপী। ফাইভজির অগ্রগতিতে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের সুফলে ড্রাইভারলেস গাড়ি ব্যবহার হবে আনন্দের। গড়ে ওঠে স্মার্ট ভেহিকেল সিস্টেম। মিলকেন ইন্সটিটউটের তথ্য মোতাবেক ২০৩৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর সব গাড়ি হবে চালকমুক্ত।মানবীয় ভুলের সম্ভাবনা না থাকায় এই সব চালকবিহীন গাড়ি হবে বেশি নিরাপদ। এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির জয়জয়কার হবে।ইতালীয় জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনেলের মতে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর বিশ্বে ইলেক্ট্রিক গাড়ির উৎপাদন দাঁড়াবে ১০ কোটিতে। যা সারা বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশ হ্রাস করবে।




হাতে আসবে সেরা প্রযুক্তি

২০৫০ সালের মধ্যেই মানুষের হাতে এসে যাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন মানব সভ্যতার গতি-প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হবে এমনটাই মানেন গবেষকরা।


ইলেকট্রিক প্রপালশন : নাসা এ নিয়ে কাজ করছে ২০০৭ সাল থেকে। এর আগে এটি মানুষের নজরে আসেনি। বিদ্যুেক কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রা বহু বছর ধরেই সহজ করে আনছে মানুষ। সেখানে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমে গেছে বহুগুণ। এই বিদ্যুত্শক্তি আরও সহজলভ্য করার জন্য যে গবেষণা চলছে তার সমাধান ২০৫০ সালের আগেই মানুষের কাছে এসে যাবে। পৃথিবীর বাইরে মানুষের যে শক্তি ও জীবনের অনুসন্ধান চলছে তাতে এই সমাধান যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দেবে।



শহরে বনায়ন : নগরায়ণ ও শিল্পায়নের প্রভাব পড়েছে বনভূমি ও কৃষিভূমিতে। নদী ও খালগুলোও সভ্যতার পথে এসে দাঁড়ায় কিন্তু ধ্বংস করেছে মানুষ। এই অসহনীয় ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিদান দিতে হবে মানুষকেই। ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষ বন সৃষ্টির জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে উঠে পড়ে লাগবে। 


এ পরিকল্পনায় থাকবে শহরে বনায়ন। বনাঞ্চলে নগর প্রসারিত হলেও উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের কোনো ক্ষতি যেন না হয় সেটা প্রাধান্য পাবে। মানুষের আকাশছোঁয়া দালান হবে একেকটি ছোট বন। পুরো শহর বনের কোনো ক্ষতি যেন না করে এমন পরিকল্পিতভাবে সাজানো হবে। সেখানে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর আগে বন ও প্রাণীজগতের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা হবে।

দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা : সময় বাঁচাতে মানুষ আরামদায়ক ও নিরাপদ যানবাহন উদ্ভাবনে মন দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাফল্যেরও দেখা মিলেছে। তবে ২০৫০ সালের মধ্যেই এর পুরো ফলাফল মানুষ ভোগ করবে। 

দ্রুতগতির ট্রেন, প্রাইভেট কার, উড়োজাহাজ ও জাহাজ মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। এগুলোর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটারের মতো। এছাড়া সম্পূর্ণ বিদ্যুত্চালিত গাড়িও তখন রাস্তা দাপিয়ে বেড়াবে।


মহাকাশে খনন 

মহাকাশে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার কথা হরহামেশাই শোনা যায়। ২০৫০ সালে এটি আরও বড় পরিসরে এগোবে। তখন পৃথিবীর বুকে তেল, গ্যাস, কয়লা বা সোনা খোঁজার মতো করেই মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে, গ্রহে মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করবে। পৃথিবীর বাইরে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ ২০৫০ সালেই মিলতে পারে।





মহাকাশপ্রযুক্তি

ততদিনে হয়ত মঙ্গলে মানুষ বসবাসের জন্য চলে যাবে(সফল হয় বা না হয় সেটা আলাদা)।চাঁদেও হয়ত বসতি স্হাপনে আগ্রহী হবে।

আমাদের দেশের মত গরীব দেশগুলা চাঁদে যাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নিবে।মহাকাশ গবেষনা আরো উন্নত থেকে উন্নততর হবে।Isssএর মত অবজেক্ট গুলা দেখার জন্য তখন আর রাত বিরাতে ঘন্টার পর ঘন্টা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না প্রতিটা। এলাকায় টেলিস্কোপ সহজলভ্য হয়ে যাবে।মহাকাশের আবর্জনাগুলা অনায়সে তখন হয়ত সরানোর প্রযুক্তিও চলে আসতে পারে


ইন্টারেনেট

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে তখন আর 3g বা 4g নিয়ে বসে থাকবে না। নতুন কোন জেনারেশন চালু হয়ে যাবে।অধিকাংশ দেশ বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু করবে হয়ত।পৃথিবীর ৯৮% মানুষ ইন্টারনেটের আওতাধীন থাকবেন।



বিপজ্জনক ২০৫০

দূষিত বাতাস : ২০৫০ সালে শহরায়ন ও নগরায়ণের প্রভাবে মানুষের গ্রহণযোগ্য বাতাসে দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। বাতাস দূষিত হলে মানুষ সরাসরি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হবে। এছাড়া ওজোন স্তরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এই সময়ের ব্যবধানেই।




খাওয়ার পানি সংকট : সুপেয় পানির জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে— এই আশঙ্কা গত কয়েক দশক ধরেই করা হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ সুপেয় পানি পাবে না। এই খাওয়ার পানির সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে পারে পরবর্তী বছরগুলোতে। এখনই প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না। যা প্রায় পুরো পৃথিবীবাসীর ৪০ শতাংশ। এছাড়া প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ প্রতিনিয়ত পানির সংকটে ভুগছে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ খাওয়ার পানি পাবে না। শুধু তাই নয়। মারাত্মক সংকট তৈরি হবে ফসলি জমিতে সেচের ক্ষেত্রেও। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অবস্থা বর্তমানে বিবেচনার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে।


আরো পড়ুন:












0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments