কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ? What is a computer virus? What is the way to protect your computer from viruses ?

 কম্পিউটার ভাইরাস কি ?


Table of Contents


কম্পিউটার ভাইরাস কি? 


Most People View This Post


কম্পিউটার ভাইরাস কি?

কম্পিউটার ভাইরাস, এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম (computer program) বা ফাইল (file) যে ব্যবহারকর্তার অনুমতি বা সচেতনতার ছাড়াই কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে এবং আস্তে আস্তে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যায়। এর বাইরে, ভাইরাস যেকোনো কম্পিউটারে কখন কিভাবে ঢুকে যেতে পারে, সেটা বুঝে পাওয়া অনেক কঠিন।কম্পিউটার ভাইরাস হলো একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম। ইন্টারনেট, পেনড্রাইভ বা অন্য কোনো মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং গোপনে বিস্তার লাভ করে সাথেই কম্পিউটারের জরুরি তথ্য নষ্ট করে,কম্পিউটারকে স্লো বা বিকল করে দেয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলিট করে বা আরও অনেক ক্ষতিসাধন করে থাকে। ভাইরাস হল এমন একটি প্রোগ্রাম যা নিজেই নিজের কপি করতে পারে আর সেই কারনেই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।ভাইরাস অর্থাৎ VIRUS শব্দের পুরো নাম Vital Information Resources Under Seize যার অর্থ  জরুরী তথ্যের উৎসগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


  • প্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের নাম জানেন কি?

প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে Creeper! 

ম্যাথমেটিশিয়ান জন ভন নিউম্যান ১৯৪৯ সালে কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোকে নিজে থেকেই পরিবর্তন করতে পারে এমন একধরণের প্রোগ্রামের নাম কম্পিউটার ভাইরাস এবং ওর্মস দিয়ে একটি থিউরি প্রদান করে গিয়েছিলেন। তার এই থিউরী মোতাবেক দুনিয়ার প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে ক্রিপার কে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।

ক্রিপার ভাইরাস টি BBN কোম্পানির বব থমাস নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করেন এবং আরপানেটের DEC PDP-10 নামক কম্পিউটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।

 তিনি ক্রিপার ভাইরাসকে শুধু পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি করেছিলেন। ক্রিপার আক্রান্ত কম্পিউটারে শুধু ”Im the creeper: catch me if you can” বার্তাটি প্রদর্শিত হতো, ক্রিপার কোনো ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়নি। ক্রিপারের এই বার্তার উপর ভিক্তি করেই দুনিয়ার প্রথম এন্টিভাইরাস  “দ্যা রিপার” তৈরি করা হয়! দ্যা রিপার এন্টিভাইরাসও সিস্টেমের সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়ে ক্রিপার ভাইরাসকে শনাক্ত করে সেটিকে মুছে দেয়।


কম্পিউটার ভাইরাস কি করতে পারে?

কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় যেমন :

  •  কম্পিউটারের  স্পীড কমে যাওয়া ,
  • কম্পিউটার হ্যাং করা ,
  • কম্পিউটার  বিনা কারণে  রিস্টার্ট নেওয়া ,
  • বিভিন্ন ধরনের অ্যাড প্রদর্শিত হওয়া,
  • কম্পিউটারের সি পি ইউ ইউজ  বৃদ্ধি পাওয়া,
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ইন্সটল হওয়া,

  • কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশের কারণ ?

আপনার কম্পিউটার বা সিস্টেমে অনেক সহজে কিছু মূল কারণে ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে। সেগুলি হলো –

ইন্টারনেটের মাধ্যমে – যদি আপনি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে অনলাইন অনেক সংক্রমিত ওয়েবসাইটের থেকে আপনার computer এ ভাইরাস ঢুকতে পারে। ৭০% লোকেদের কম্পিউটারে অ্যাডওয়্যার  এবং malware, spyware ভাইরাস ইন্টারনেট থেকেই সিস্টেমে এসেপড়ে।

 (USB) ইউ এস বি ডিভাইস থেকে –  আমরা অনেক সময় অনেক রকমের USB device যেমন, pen drive, অন্য mobile থেকে, hard disk থেকে অনেক রকমের ফাইল নিজের কম্পিউটারে কপি করে রাখি। এবং, এই ফাইল গুলি কপি করার সময় আমাদের কম্পিউটারে অন্যদের কম্পিউটার থেকে ভাইরাস অনেক সহজে ঢুকে যায় এবং আমরা বুঝতেও পারিনা।

Email attachment থেকে – আমাদের মেইল আইডি তে প্রতিদিন অনেক রকমের ইমেইল আসে। এবং, এই আশা ইমেইল গুলিতে ফাইল এটাচমেন্ট (attachment) এর মাধ্যমে ভাইরাস ঢুকতে পারে।


  • কম্পিউটার ভাইরাস প্রতীরোধের উপায়

এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা

এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।  কারণ প্রতিবার সর্তকতা নাও থাকতে পারে। তাই ফ্রী বা পেইড একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কম্পিউটারে রাখলে তা অটো স্ক্যান করতে থাকবে। এন্টিভাইরাস ইন্সটল করার সাথে সাথে তা এক্টিভ ভাবে কাজ করবে। আপনাকে কিছু করতে হবে না। যদি না করে তাহলে সময় নিয়ে আপনি স্ক্যান করে নিতে পারবেন। 


ভাইরাস আক্রান্ত হলে সতর্কতা/ কি করবেন

অনেক সময় অসর্তকতা বসত পিসি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যায়।  তখন কোন সমস্য দেখা দেয়ার আগেই পিসিকে ভাইরাস মুক্ত করতে হবে। এই জন্যে আপনাকে আপনার কম্পিউটার  উইন্ডোজ দিয়ে নিতে হবে। যদি উইন্ডোজ দিতে না পারেন তাহলে একটি ভালো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিতে পারেন। যেটি দিয়ে পুরো কম্পিউটার স্ক্যান করে নিবেন। এরপর আপনার হার্ডডিস্কের স্ক্যানিং ও করুন। আপনার হার্ড ডিস্ক একবার ভাইরাস মুক্ত হলে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখুন। সর্তক থাকুন। 

প্রোগ্রাম মুছে ফেলা: 

কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর  প্রোগ্রামসমূহকে চিহ্নিত করে আনইন্সটল করতে হবে। কোন সফটওয়্যার সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে ইন্টারনেটে  রিসার্চ এর মাধ্যমে ওই সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে। ক্ষতিকর সফটওয়্যার গুলো কে কম্পিউটারের মেমোরি থেকে মুছে ফেলতে হবে।


অপারেটিং সিস্টেম  পুনরায় ইনস্টল করা:

কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করা। কম্পিউটারের মেমোরিকে  ফরমেট দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করলে যেকোনো ধরনের ভাইরাসের হাতথেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

গুরত্বপূর্ণ কিছু টিপস

ইন্টারনেট ছাড়া এখন জীবন অচল অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারে কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই৷ তাই নিয়মিত এন্টিভাইরাস আপডেট দিয়ে রাখুন। যেকোন পেনড্রাইভ বা মেমোরি কম্পিউটারে ব্যবহার করার আগে ফোল্ডার থেকে ওপেন করুন। ডিরেক্ট ওপেন করলে ভাইরাস থাকলে তা দ্রুত আপনার কম্পিউটার আক্রমণ করে আপনার সিস্টেম খারাপ করে দিবে। 



-------------------------------Thanks for view-------------------------------


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments