কিভাবে শুরু করব ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ? How to start a freelancing career?

 ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ?





ফ্রিল্যান্সিং কি? 

কিভাবে শুরু করব ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ?

আমাদের লেখা যারা যারা পড়ছেন তারা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অবশ্যই শুনে থাকবেন ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। অনেকেরই কোন পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত আছে।


আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করছেন মাসে মাসে অনেক টাকা। আজকে আমাদের এই লেখাটি পড়ার পর আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং কি এবং জানতে পারবেন তারা কিভাবে কোন পদ্ধতিতে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব এই টাকা আয় করছে।


ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন

সূচনাঃ

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের চাহিদা অনেক অংশে কমিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং। এটি এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা কাজ করতে পারেন।

এখানে আপনার শুধু দরকার একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডে দক্ষতা অর্জন করা। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) ও আউটসোর্সিং (Outsourcing) এর আওতা অনেক বড়। ফটো এডিটিং (Photo Editing) থেকে শুরু করে ভিডিও বানানো, এডিট করা (Video Editing) সহ গ্রাফিক্স ডিজাইনের সকল বিভাগই এর আওতাভুক্ত। এছাড়া ওয়েব ডিজাইন (Web design), কোডিং (Coding), এনিমেশন তৈরি (Animation Making), ব্লগিং (Blogging) সহ অনেক কাজ আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।

যাহোক, এ বিষয়ক সব কিছুই আমরা এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরবো। এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন। তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।


কি কি দক্ষতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে?

অনেকেরই কনফিউশন থাকে যে আসলেই কি আমি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করতে পারবো? কি কি জিনিস দরকার এই কাজের জন্য? আসলে সত্যি কথা বলতে তেমন কিছুই লাগবে না আপনাকে এই পেশা শুরু করার জন্য। প্রথম যে জিনিসটা আপনার লাগবে সেটি হলো ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্য। এগুলো থাকলেই আপনি এই সেক্টরে নিমিষেই সফল হবেন।

এর পাশাপাশি আপনার দরকার হবে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের দক্ষতা এবং কাজ চালানোর মতো ইংরেজি জানা। ইন্টারনেট সম্পর্কিত ভালো ধারনা ও গুগল এবং ইউটিউব থেকে বিভিন্ন রিসোর্স খুঁজে বের করার দক্ষতা এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। এই ছিল মুলত প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী যা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যোগ্য করে তুলবে।


নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারে

আমি যদি ২০১০ সালের কথা আজকে চিন্তা করি তাহলে ভাবতেই অবাক লাগে সেই সময় আমরা কিভাবে করে কাজ করতাম আর কিভাবে কাজগুলি শিখেছিলাম। ১০ বছরের ব্যবধানে আজকে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে আসাটা যতোটা সহজ হয়েছে, সেটি আসলে বলার মতো নয়।

সেই সময়, ২০১০ সালের দিকে খুব বেশি মানুষের বাসায় কম্পিউটারই ছিল না। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।

তাই ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে নতুনদের আসতে এখন আর খুব বেশি কোনো সমস্যা হয় না। ফ্রিল্যান্সিং সর্ম্পকিত সমস্ত তথ্য ইন্টারনেটেই আছে। আপনি গুগল কিংবা ইউটিউবে কিছুটা ঘাটাঘাটি করলে এই বিষয়ে আরো জানতে পারবেন।

তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন প্রফেশনাল মানের অনলাইন কোর্স থেকে শুরু করে অনেক ভালো ভালো ট্রেনিং সেন্টারও  রয়েছে; যেখানে আপনি ট্রেনিং করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

তবে একটি বিষয় অবশ্যই চিন্তা করা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং এমন কোনো পেশা নয় যেখানে আপনি এক মাস কাজ করলেই খুব ভালো আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে পেইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স

অনলাইনে অনেক পেইড ফ্রীলান্সিং কোর্স পাওয়া যায় দেশি এবং বিদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে। তবে আপনি যদি অনলাইনে পেইড ফ্রীলান্সিং কোর্স করতে চান তবে আমি বলব যে আপনি বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে পেইড কোর্স করাই ভালো।

Udemy, Udacity মত বিখ্যাত ওয়েবসাইটে তারা তাদের পেইড কোর্সগুলো ছেড়ে থাকে। এখান থেকে আপনি খুব অল্প মূল্যে ১০ থেকে ৩০ ডলার এর মধ্যে বিভিন্ন কোর্স কমপ্লিট করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রচলিত ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স গুলো থেকে একটু আলাদা ধরনের। যেমন বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রোগ্রাম আছে লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সংক্ষেপে এলইডিপি।

সরকারের এই এলইডিপি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ফ্রি হলেও বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কে আপনার টাকা দিয়ে শিখতে হবে।

এখানে হাতে-কলমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়া থেকে শুরু করে কিভাবে টাকা রিসিভ করবেন এসব বিষয়েও হাতে কলমে শিখানো হয়।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ

ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ এ কাজ করার জন্য অনেক কাজ আছে এবং প্রতিদিন নিত্য নতুন কাজ এর ক্ষেত্র হচ্ছে।

যেমন কেউ কোন ওয়েবসাইট যদি খুলে তখন তার ওয়েবসাইটের ডিজাইন করার জন্য এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য দুইজন ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজন।

পাশাপাশি যদি এই ওয়েবসাইটে যদি সে বিভিন্ন ছবি ভিডিও এডিটিং করতে চায় তবে তার ভিডিও এডিটর, গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর প্রয়োজন।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাবার উপায়

বাংলাদেশে কাজ করে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহণ পদ্ধতি

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহন পদ্ধতি টা অনেক সহজ

আপনার যদি পার্সোনাল বা আপনার পরিবারেরও যদি কারো বিকাশ একাউন্ট থাকে তবে আপনি সেই বিকাশ একাউন্ট থেকে পেমেন্ট গ্রহন করতে পারেন। এটাই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহন করার সবচাইতে প্রচলিত পদ্ধতি।

তবে টাকার অঙ্ক যদি অনেক বেশি হয় তবে সে ক্ষেত্রে বিকাশ না করে আমি আপনাকে বলবো যে আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে টাকাটা তুলবেন। তাহলে আপনার কোন টাকা কাটা যাবে না।

ফ্রিল্যান্সিং এর পেমেন্ট গ্রহন এর কাজে অনেকেই একটু শঙ্কায় ভোগেন যে ক্লায়েন্টরা তাদেরকে টাকা দিবে কিনা। এক্ষেত্রে একটি সাধারণ বিষয় হচ্ছে প্রথমবার যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দেয় তবে সে বারবার টাকা দিতেই থাকবে।

কাজেই ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করার সময় প্রথম পেমেন্ট রিসিভ করার ব্যাপার টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কাজ করার আগে আপনি দেখে নেবেন যে ক্লায়েন্টের আইডিটি ফেক আইডি কি না।



0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments