একটি ছবি তুলতে ক্যামেরার ২৪টি লেন্স লাগল কেমন ছিল শেই ছবি | It took 24 lenses of the camera to take a picture


দূর মহাকাশে নক্ষত্রের ছবি তুলতে ক্যামেরার ২৪টি লেন্স এক করে ‘ড্রাগনফ্লাই টেলিফটো অ্যারে’ তৈরি করেছেন একদল গবেষক। লেন্সগুলো জাপানি প্রতিষ্ঠান ক্যাননের ‘ইএফ ৪০০ এমএম এফ/২.৮’ সিরিজের।

ড্রাগনফ্লাই টেলিফটো অ্যারে মূলত টেলিস্কোপ, যাতে ক্যাননের ৪০০ মিলিমিটার লেন্সগুলো যুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি ও কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষক দলটি সে টেলিস্কোপের প্রথম নকশা করে ২০১৩ সালে, যা ‘প্রজেক্ট ড্রাগনফ্লাই’ নামেও পরিচিত ছিল।


প্রচলিত ধরনের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপেও যে ছায়াপথগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হতো না, সেগুলো ড্রাগনফ্লাই টেলিফটো অ্যারেতে ধরা দিচ্ছে। এর কাজ মূলত অনুজ্জ্বল ছায়াপথগুলো নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করে কৃষ্ণবস্তু বা ডার্ক ম্যাটারের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা। তা ছাড়া ডিস্ট্রিবিউটেড বা অনেকগুলো টেলিস্কোপের ছবি সমন্বয়ের ধারণাকে কাজে লাগাতেও চায় ওই গবেষক দল।

এই গবেষকদের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ক্যানন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৪০টি ‘ইএফ ৪০০এমএম এফ/২.৮এল আইএস টু ইউএসএম’ মডেলের লেন্স সরবরাহ করেছিল। পরে তা ৪৮ লেন্সের টেলিস্কোপে উন্নীত করা হয়। প্রতিটিতে ২৪টি করে দুটি মাউন্টে এই লেন্সগুলো যুক্ত আছে। সে থেকে ওই গবেষকেরা মহাকাশের চমৎকার সব ছবি তুলছেন, অনুজ্জ্বল ছায়াপথ শনাক্ত করে চলেছেন। ২০১৬ সালে এই টেলিস্কোপেই ‘ড্রাগনফ্লাই ৪৪’ নামের ছায়াপথ আবিষ্কার করা হয়। আবার ২০১৮ সালে কৃষ্ণবস্তুহীন ছায়াপথ ‘এনজিসি ১০৫২-ডিএফ২’ শনাক্ত করা হয় এতে।


ক্যানন জানিয়েছে, তারা ওই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা জারি রাখবে, পাশাপাশি আরও ১২০টি একই ধরনের লেন্স পাঠাবে। তখন ড্রাগনফ্লাই টেলিফটো অ্যারের মূল কাজগুলোর একটি হবে, ছায়াপথের আশপাশের অনুজ্জ্বল গ্যাস শনাক্ত এবং সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা। গবেষক দলটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নতুন এই দ্বার উন্মোচন করে জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার আজকের জটিল সব প্রশ্নের সমাধান দেবে ড্রাগনফ্লাই।


সব মিলিয়ে ১৬৮টি লেন্সের সাহায্যে তখন মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার ফোকাল লেংথের ১ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের টেলিস্কোপের মতো কাজ করবে ড্রাগনফ্লাই টেলিফটো অ্যারে।

0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments