গেমশিল্পের বাজার ১৫ লাখ কোটি টাকার, বাংলাদেশের কতটা...| Game industry market 15 lakh crore, how much of Bangladesh ...

 


২০২৩ সালের শেষে ভিডিও গেমের বাজার হবে ২০৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। টাকায় রূপান্তর করলে তা হয় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা। গেম ও ই–স্পোর্টস নিয়ে বিশ্লেষণ ও এর বাজারসংক্রান্ত গবেষণা করে নিউজ। ২০২১ সালের বিশ্ব গেম প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয় তারা। গেমশিল্প বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলোর একটি।

এবার দেশের বাজারে আসি। দেশীয় উল্কা গেমস চলতি অর্থবছর ৫০ কোটির মতো আয় করেছে। এ অর্থবছরে ১০ কোটির মতো টাকা আয়কর দেবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন উল্কা গেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামিলুর রশিদ।

উল্কার খবর জানা গেলেও পুরো বাংলাদেশের বাজার নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। তবে শিল্পের সঙ্গে জড়িত দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরা বলছেন, বর্তমানে এ বাজার ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৪২৮ কোটি টাকার মতো হবে।

নিউজুর প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের শেষে বিশ্বের গেম ইন্ডাস্ট্রির আকার হবে প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। এর সামান্যই ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ।

দেশে রয়েছে হাতে গোনা ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান। হাম্বা গেমস, উল্কা গেমস লিমিটেড, আলফা পটেটো, ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভ, প্লেইনজ, রাইজ আপ ল্যাবস, থান্ডার গেমস, ফ্রি পিক্সেল গেমসের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে ফ্রি পিক্সেল গেমস দেশের সবচেয়ে পুরোনো।

এসব গেমস পরবর্তী সময়ে কিনে নেয় পাবলিশার, বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে দেয় লভ্যাংশ। একটা গেম বাজারজাত করা বা মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব পাবলিশারের। দেশে এখনো এমন পাবলিশার গড়ে না উঠলেও, দেশীয় গেমস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করছে বিভিন্ন প্রকারের গেমস।


নানা ধরনের ভিডিও গেম

খেলার সময়, গভীরতা, বিভিন্ন স্তরের ওপর ভিত্তি করে ভিডিও গেমসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়—হাইপার ক্যাজুয়াল, হাইব্রিড ক্যাজুয়াল, ক্যাজুয়াল, মিডকোর ও হার্ডকোর।

এর মধ্যে হাইপার ক্যাজুয়াল গেমস স্থায়িত্ব খুবই কম সময় এবং দিনের বিভিন্ন কাজের ফাঁকে একটু বিরতিতে খেলা যায়। স্থায়ীত্ব হয় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিনিট।

এরপরই রয়েছে হাইব্রিড ক্যাজুয়াল গেমস, যা হাইপার ক্যাজুয়াল গেমসের তুলনায় কিছুটা বেশি সময় নিয়ে খেলা হয়। ক্যাজুয়াল গেমসের স্থায়ীত্ব একটু বেশি।

ওপরের তিনটি গেমই মূলত ফোনে বেশি খেলা হয় এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। খেলার নিয়মগুলো সহজ, খেলতে দক্ষতা লাগে কম। এগুলো খেলতে সাধারণত অর্থ খরচ করতে হয় না এবং আয় বিজ্ঞাপননির্ভর।

ওপরের গেমগুলোর তুলনায় মিডকোর ও হার্ডকোর গেমস একটু কঠিন। শিখতে সময় বেশি লাগে, খেলায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। তা ছাড়া অন্য খেলোয়াড়ের বিপক্ষে থাকে জয়ের তাড়না। এতে গভীর গল্প ও যুদ্ধ থাকে। খেলার অনেকগুলো স্তরও থাকে।

আবার খেলার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গেমগুলো আরও কিছু অংশে ভাগ করা যায়—অ্যাকশন, অভিযানভিত্তিক, কৌশলগত, স্পোর্টস, পাজল গেমস ইত্যাদি।


ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভের স্টুডিওতে গেম তৈরির কাজ চলছে

 

বিশ্ববাজার ধরতে দেশে দাপট ‘হাইপার ক্যাজুয়াল’ গেমের

বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতা–সফলতা

দেশীয় গেম স্টুডিওগুলোর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করছে, বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে স্টোর ও আইফোন অ্যাপ স্টোরে।

হাম্বা স্টুডিওর দাবি, তাদের গেমগুলো খেলা হচ্ছে যুক্তরাস্ট্র, জাপান, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ভারত, কানাডাসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। তাদের সবগুলো গেম ৩০ কোটির মতো ডাউনলোড হয়েছে।

ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভের তৈরি ক্রিকেট ভার্চুয়ার রিয়েলিটি গেম

 

পিক মি আপ গেমটি ২০১৯ সালের মার্চের গুগল প্লে ও অ্যাপ স্টোরে টানা ৫ সপ্তাহের মতো বিশ্বসেরা ছিল বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান শুভর। ৩০টি দেশে তখন এটা প্রথম অবস্থানে ছিল।

অংশীদার স্টিলফ্রেন্টরের পাশাপাশি নিজেদের জন্য আলাদাভাবেও গেমস তৈরি করছে উল্কা গেমস। তাদের গেমগুলো মূলত ভারত ও বাংলাদেশে খেলা হয়।

স্ট্রিলফ্রেন্টের জন্য তৈরি জনপ্রিয় গেমগুলো হল—ক্যারম ক্লাব, লুডু ক্লাব, তিন পাত্তি গোল্ড, জালেবি। এর মধ্যে লুডু ক্লাব ১০০ মিলিয়নের ওপর ডাউনলোড হয়েছে। এ ছাড়া নিজেদের তৈরি প্রথম সারির চারটি গেম হচ্ছে আড্ডা, টুয়েন্টিনাইন গোল্ড, হাজারি ও বোর্ড ক্লাব।

এ ছাড়া রাইজ আপ ল্যাবসের ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্ট ১০০টির বেশি দেশে ১৫ মিলিয়নের বেশি ডাউনলোড হয়েছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। আন্তর্জাতিক ও দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠান আর সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সব মিলিয়ে ৩০টির মতো গেম তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্লেইনসের মোট ১০০টির বেশি গেমস আছে। তাদের গেমগুলো ১০ মিলিয়নেরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে বলে ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।


সফলতায় আসছে বিদেশি বিনিয়োগ

দেশীয় এসব অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সফলতায় একদিকে তৈরি হচ্ছে নতুন কোম্পানি, অন্যদিকে টানছে বিদেশি বিনিয়োগও।
বড় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শুরুতে আলোচনায় আসে উল্কা গেমস লিমিটেড। ২০১৯ সালে ভারতের প্রথম সারির মোবাইল গেমস নির্মাতা কোম্পানি মুনফ্রগ ল্যাবস তাদের অঙ্গসংগঠন উল্কায় বিনিয়োগ করে। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শেয়ার প্রায় ৭৫০ কোটি টাকায় কিনে নেয় সুইডেনভিত্তিক মোবাইল গেমস নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলফ্রন্ট গ্রুপ।

বিশ্বে গেম বাজারের চাহিদা বাড়ায় ও বাংলাদেশের শ্রমবাজার তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।
বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা গেমের প্রোটোটাইপেও নির্মাতাদের অর্থ দিচ্ছেন, যা আগে ছিল না। কোনো গেম চূড়ান্তভাবে বাজারে ছাড়ার আগে তার একটি প্রোটোটাইপ করা হয়।

অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। হাম্বায় যাঁরা বিনিয়োগে আগ্রহী, তাঁদের বড় অংশই চীনা বিনিয়োগকারী।

হাম্বা গেমসের বিনিয়োগকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তাকশেদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন বাজার অনেক স্থিতিশীল ও সুনিশ্চিত। কাজেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নতুন বিনিয়োগ আসছে। এখন আমরা আন্তর্জাতিক ডেভেলপার নিয়োগেরও স্বপ্ন দেখছি।’


রয়েছে কিছুটা ঝুঁকিও

দেশীয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ করলেও শুরুতে কিছুটা ঝুঁকিও থাকে। হাম্বা স্টুডিওর যাত্রা শুরু ২০১৬ সালে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি লাভে এসেছে তিন বছর পর অর্থাৎ, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি।

এমনকি উৎপাদের ক্ষেত্রেও কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। কারণ, কিছু কিছু গেম শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় খেলোয়াড় টানতে। হাম্বা স্টুডিও এখন পর্যন্ত ২০০টির ওপর গেম বানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে সাতটি।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও আশরাফুজ্জামান শুভ বলেন, একটি গেম কতবার ডাউনলোড হয়েছে, কতদিন ধরে খেলা হলো ও প্রতিদিন কত সময় ধরে খেলা হয়েছে—এসবের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন পাবলিশাররা।

অন্যদিকে এ পর্যন্ত ২০টির মতো প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে উল্কা। এর মধ্যে সফলতা প্রায় অর্ধেকের মতো।

এ ছাড়া নতুন শিল্প হিসেবে যেহেতু দাঁড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, কাজেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভাঙার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পুরোনো প্রতিষ্ঠান ভেঙে কয়েকজন মিলে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়তে দেখা গেছে।


দক্ষ কর্মীর বড়ই অভাব

গেমসশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন বর্তমানে এ শিল্পে কাজ করা ডেভেলপার ও প্রোগ্রামারের সংখ্যা ২০০র বেশি না। এর বাইরে দক্ষ লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

বনী ইউসুফ ও ইশফাকুর রহমান মিলেই এক বছর ধরে প্রতিষ্ঠা করেছেন থানডার গেমস। দুজনেরই আগে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য দরকার নতুন কর্মী। কিন্তু পাচ্ছেন না।

বনী ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসংখ্য প্রোগ্রামার দরকার এখানে। আমরা অনেক টাকা বেতন দিতে চাচ্ছি। কিন্তু ভিডিও গেমে ভালো ডেভেলপার ও প্রোগ্রামার পাচ্ছি না। আবার অনেকে এই সেক্টরে আসতেও চাচ্ছেন না। কিন্তু তাঁরা জানে না যে এটা থেকে আরও বেশি আয় করা যায়।’

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প’–এর মাধ্যমে দেশে ৩৮টি গেমিং ল্যাব ও পরীক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তারপরও তা বর্তমান বাজারের জন্য অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন গেম স্টুডিওর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

দেশে তৈরি গেমগুলোর বেশির ভাগই হাইপার ক্যাজুয়াল। শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংখ্যাটা মোট প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধেকের বেশি।

তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান হাম্বা স্টুডিও। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, দেশে তারাই এ গেম প্রথম নিয়ে আসে ২০১৬ সালে। এ ধরনের গেমে বর্তমানে সুনাম কুড়িয়েছে আলফা পটেটো গেমসও। এ ছাড়া প্লেইনজ, থানডার গেমসরও মনোযোগ মূলত হাইপার ক্যাজুয়াল গেমস তৈরির দিকে।

থানডার গেমসের সহপ্রতিষ্ঠাতা বনী ইউসুফ জানান, তিনি আগে অন্য গেম বানালেও বর্তমানে নতুন প্রতিষ্ঠানের হয়ে হাইপার ক্যাজুয়াল গেমসেই ঝুঁকছেন।

হাম্বা স্টুডিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান শুভ প্রথম আলোকে বলেন, ২ থেকে ৩ মাসে একটা ভালো হাইপার ক্যাজুয়াল গেমস তৈরি করা যায়। ফলে গেমটা সফলতার মুখ না দেখলেও খুব বেশি হতাশ হতে হয় না।

অন্যদিকে উল্কা গেমস লিমিটেড আবার ক্যাজুয়াল ও মিডকোরের মাঝামাঝি ধরনের গেম তৈরি করছে।

এর মধ্যে আবার দুটি প্রতিষ্ঠান এআর ও ভিআর গেমও তৈরি করছেন। তবে সেটা মূলত দেশের বাজারের জন্য।


দেশের বাজার ধরতে এআর, ভিআর
বিশ্ববাজার ধরতে দেশের বেশির ভাগ হাইপার ক্যাজুয়াল গেমস বানালেও, দেশের বাজার ধরতে কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভ। এরপরই রয়েছে রাইজ আপ ল্যাবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৯ সালে।

মূলত দেশের বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও সরকারের জন্য এসব গেম বানিয়েছেন তারা।

এআর বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি হচ্ছে, কোনো বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) চরিত্রের সমন্বয়। আর ভিআর বা ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিতে আপনার মনে হবে যে নিজেই ত্রিমাত্রিক জগতে চলে গেছেন। এ জন্য অবশ্য চোখে একটি ভিআর গ্লাস পড়তে হয়। গেমের গভীরতা ও ধরন অনুযায়ী এসব গেম তৈরিতে ১ মাস থেকে ১ বছরও লেগে যায়।

ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভের প্রধান প্রযুক্তি অফিসার (সিটিও) মিনহাজ মিমো প্রথম আলোকে বলেন, দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে লোকজন ভিডিও গেমের পেছনে খরচে আগ্রহী নয়। তাই দেশীয় বেসরকারি, এনজিও, করপোরেট ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিআর ও এআর গেম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। বেশির ভাগই সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের জন্য করা।

ব্যাটারি লো ইন্টারঅ্যাকটিভ এখন পর্যন্ত মোট ৫১টি গেম তৈরি করেছে। এর মধ্যে ১৬টি ভিআর ও ১১টি এআর।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ারের কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৪টি অংশীদারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি চুক্তিবদ্ধ।

অন্যদিকে রাইজ আপ ল্যাবস ১০ থেকে ১২টি এআর ও ৭টি ভিআর গেমস তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ম্যানেজার এনামুল হক রাতুল।


0/পোস্ট এ কমেন্ট/Comments